গত কুড়ি-পঁচিশ বছরে কলকাতা ও তার সংলগ্ন মফস্সলগুলিতে ফ্রিলান্স কাজের ঝোঁক বেড়েছে। অবশ্য শুধু কলকাতা নয়, এই ট্রেন্ড সারা দেশেই রয়েছে। কিন্তু যে কোনও স্বাধীন পেশাদার বা নতুন ব্যবসায়ীর কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে ওয়র্ক স্পেস। এঁদের মধ্যে খুব কমজনই যথেষ্ট পরিমাণ পুঁজি নিয়ে কাজ শুরু করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। তাই একটা সম্পূর্ণ অফিস স্পেস ভাড়া করে কাজ শুরু করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায় তাঁদের কাছে।
এমন তরুণ উদ্যোগপতি এবং ফ্রিলান্সারদের জন্য়েই ২০০০ সালে তৈরি হয়েছিল কলকাতায় এপিজে-র প্রথম বিজনেস সেন্টারটি। পার্ক স্ট্রিটের ওই বিজনেস সেন্টারের ‘হট সিট’গুলি তো হটকেক ছিলই, পাশাপাশি গত দু’তিনবছরে কলকাতায় কো-ওয়র্কিং স্পেসের চাহিদা ক্রমশই বেড়েছে। তাই সম্প্রতি এপিজে লঞ্চ করেছে দ্বিতীয় বিজনেস সেন্টারটি।
ছবি সৌজন্য: এপিজে
সল্টলেকে অবস্থিত এই এপিজে বিজনেস সেন্টার (এবিসি)-এর ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কো-ওয়র্কিং স্পেস রয়েছে যেগুলি একাধিক ছোট কোম্পানির মালিকেরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভাড়া নিতে পারেন। এখন প্রশ্ন হল, কলকাতার যে কোনও অঞ্চলে যে কোনও প্রাইভেট কমার্শিয়াল স্পেস ভাড়া না করে এই ধরনের বিজনেস সেন্টারে কো-ওয়র্কিং স্পেস নেওয়ার সুবিধাটা কোথায়?
আসলে প্রাইভেট কমার্শিয়াল স্পেস ভাড়া করে অফিসের উপযোগী পরিকাঠামো তৈরি করতে যে বিপুল পরিমাণ খরচ হয়, তা প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্টের খরচ প্রচুর বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে কো-ওয়র্কিং স্পেসগুলি যে সেন্টারে থাকে, তা প্রথম থেকেই সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক পরিকাঠামো-সম্বলিত। তাই ছোট ব্যবসায়ী এবং স্বাধীন পেশাদাররা অনেক কম খরচে তাঁদের কাজ শুরু করতে পারেন।