২০১৬-র ৮ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদীর একটি ঘোষণা সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। একটি ঘোষণাতেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল সারা দেশের ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। উদ্দেশ্য ছিল— দেশ থেকে স্থায়ী ভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে কালো টাকা। সেই বছরেরই ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরনো ৫০০ ও ১০০০-এর নোট বদলে ব্যাংক থেকে নতুন নোট নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা পারবেন না, তাঁদেরকে ২০১৭-র ৩১ মার্চের মধ্যে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কোনও শাখা থেকে নোট পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল।
অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা পরবর্তী সময়সীমার মধ্যেও নোট পরিবর্তন করতে পারেননি। শোনা যাচ্ছিল তাঁদের জন্য এই সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। কিন্তু, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে যে, আর কোনও ভাবেই বদলানো যাবে না পুরনো নোট।
অর্থ মন্ত্রালয়ের সচিব টি নরসিংহ জানিয়েছেন, এখন আর নোট পরিবর্তন করতে দেওয়া যাবে না। এখনও পুরনো নোট পরিবর্তন করতে দিলে, কালো টাকা রুখতে নোট বাতিলের আসল উদ্দেশ্যটিই নষ্ট হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছে দাবি করেছিল যাতে আরও একবার বাতিল হওয়া নোট পরিবর্তনের ব্যবস্থা করা যায়। তবে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, কোনও ব্যক্তি যদি সঠিক কারণ দেখাতে পারে যে, কেন সময়সীমার মধ্যে বাতিল নোট পরিবর্তন করতে পারেনি, তবেই বাতিল হওয়া নোট পরিবর্তন করা হবে। যাঁরা নোট বাতিল প্রক্রিয়ার সময়ে বিদেশে ছিলেন, তাঁরা নোট পরিবর্তন করার জন্য অতিরিক্ত সময় পাবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। সে ক্ষেতে সেই ব্যক্তিকে যথাযথ প্রমাণ দিতে হবে।