ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালুরুর ইন্টারনেট স্পিড নিয়ে এতদিন বঙ্গবাসীর হা-হুতাশ কম ছিল না। শুধু বঙ্গবাসী নয়, সারা দেশের মানুষেরই সাধপূরণ করে ফেলেছে জিও। মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে বাজারে আত্মপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই কোম্পানির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা যায় যে এবার সবথেকে সস্তায় হাইস্পিড হোমপ্ল্যান দেবে জিও। এতেই নড়ে চড়ে বসে ভারতীয় বাজারের একাধিক কেবলবেসড (ফাইবার বেসড) হোম ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থা।
এবার ল্যান বেসড ইন্টারনেট কানেকশনেও পাওয়া যাবে হাইস্পিড পরিষেবা। কলকাতা ও জেলা মিলিয়ে বঙ্গের বাজারে সরকারী সংস্থা বিএসএনএল ছাড়া বহু সংস্থা রয়েছে যারা অনেকটাই সস্তায় ল্যানবেসড পরিষেবা প্রদান করে। এর মধ্যে অ্যালায়েন্স, মেঘবেলা, ডিএসসি, সিটি কেবল, তাইকোনা, উউশনেট-এর পরিষেবা অপেক্ষাকৃত ভাল।
আরও পড়ুন
বড় ধামাকা জিও-র, আবার নতুন অফার
টিভি দেখার খরচ আরও কমিয়ে দিল জিও!
রেসিডেন্সিয়াল ও কমার্শিয়াল ল্যান বেসড কানেকশন মিলিয়ে এই এক একটি সংস্থার দখলে কয়েক লক্ষ ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। কিন্তু মোবাইল ইন্টারনেটের পর ল্যানবেসড ইন্টারনেট ব্যবস্যায় জিওর প্রবেশে কার্যত মোবাইল অপারেটরদের মতোই দিশেহারা অবস্থা এইসব সংস্থাগুলির।
তাই জিও বাজার দখল করার আগেই কোম্পানিগুলি রাতারাতি আমূল পরিবর্তন আনল নিজেদের তারিফ প্ল্যানে। পাশাপাশি বেড়ে গেল ইন্টারনেট স্পিড। বর্তমানে যেখানে ৫১২ কেবিপিএস বা ১ এমবিপিএস-এর প্ল্যানে সামান্য আপলোড অথবা ডাউনলোড করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠত এই সব সংস্থার গ্রাহকদের, সেখানে গ্রাহক ধরে রাখতে আগের থেকে তারিফ প্ল্যানে দাম কমিয়ে বহুগুণ বাড়ানো হয়ছে স্পিড।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নূন্যতম স্পিড রাখা হয়ছে ৫এমবি পিএস। একধাপ এগিয়ে মেঘবেলার ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থা পিএমপিএল তার নূন্যতম স্পিড রেখেছে ৬ এমবিপিএস। পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বড় বেসরকারি ল্যানবেসড তিন ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থা পিএমপিএল, সিটি কেবল ও অ্যাল্যায়েন্স ইতিমধ্যেই তাদের নতুন তারিফ প্ল্যান ঘোষণা করেছে। এক ঝলকে দেখে নিন তেমনই কিছু প্ল্যান।