সরাসরি প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে গেল মুকেশ অম্বানীর জিও ফোন। গুনে ও দামে বিএসএনএল ও মাইক্রোম্যাক্সের ফোন ভারত-১। যাকে বলা হচ্ছে ‘দেশকা ফোর-জি ফোন’।
দেশের ৫০ কোটি মানুষের কাছে এখনও স্মার্টফোন নেই। ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই। সেই লক্ষ্য নিয়েই বাজারে এল ভারত-ওয়ান ফোন। সবাইকে ডিজিটাল পরিষেবার আওতায় আনতে চান নরেন্দ্র মোদী। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল নিয়ে এল সস্তার ফোনে সস্তা অফার। যা মুকেশ অম্বানীর জিওকে ধাক্কা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন বাজারে আসা এই ফোনটি কেমন দেখে নিন—
• ডিসপ্লে ২.৪ ইঞ্চি।
• কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর। • ৫১২ এমবি র্যাম ও ৪ জিবি ইন্টারন্যাল মেমরি।
• ২০০০ মেগাহার্টজ ব্যাটারি।
• ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ভিজিএ ফ্রন্ট ক্যামেরা।
• ২২টি ভারতীয় ভাষা ব্যবহার করা যাবে।
• ফোনটিতে দু’টি সিম রাখা যাবে।
এবার দেখে নেওয়া যাক ঠিক কেমন জিও ফোন—
• ২.৪ ইঞ্চি কালার ডিসপ্লে।
• ৫১২ এমবি র্যাম।
• ৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ।
• ১২৮ জিবি পর্যন্ত মাইক্রোএসডি কার্ড সাপোর্ট।
• ডুয়াল সিম— ন্যানো সিম+স্ট্যান্ডার্ড সিম।
• ২ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা এবং ভিজিএ ফ্রন্ট ক্যামেরা।
• ২০০০ মেগাহার্টজ ব্যাটারি।
• এফএম রেডিও।
দাবি করা হচ্ছে খরচের দিক থেকেও জিও-র থেকে এগিয়ে বিএসএনএল।
জিও-র তরফে বলা হচ্ছে ফোনটির জন্য কোনও দাম লাগছে না। আসলে ১,৫০০ টাকা দিয়ে ফোনটা কিনলেও সেটা আসলে সিকিউরিটি ডিপোজিট। ফোন কেলার তিন বছর পরে দাম ফেরৎ পাওয়া যাবে। তিন বছরের আগে ফেরত দিলে অবশ্য পুরো টাকা পাওয়া যাবে না। অন্য দিকে, ভারত-১ ফোনটির দাম ২,২০০ টাকা। এই ফোন ফেরত দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
কিন্তু খরচ কমের হিসেবটা পাওয়া যাবে ফোন ব্যবহারের সময়ে। জিও ফোনে প্রতি মাসে কিনতে হবে ১৫৩ টাকার প্যাকেজ। প্রতি দিন ৫০০ এমবি ফোর-জি ডেটা। যদি ফোনে টিভি দেখতে চান তবে প্যাকেজ ৩০৯ টাকার। প্রতি দিন ১ জিবি ডেটা।
জিও ফোন কেনার ১,৫০০ টাকা ফেরৎ পেতে হলে প্রতি বছর ১,৫০০ টাকা করে তিন বছর রিচার্জ করতে হবে। ফলে তিন বছরে মোট খরচ দাঁড়াচ্ছে কমপক্ষে ৪,০০৮ টাকা। ৩০৯ টাকার প্যাকেজ নিলে খরচ ৯,৬২৪ টাকা।
কিন্তু বিএসএনএল-এর ভারত-১ ফোন কিনলে মাসে রিচার্জ করতে হবে ৯৭ টাকা। অন্য যে কোনও নেটওয়ার্কের তুলনায় যা অনেক কম দামের। আর এই প্ল্যান রিচার্জ করলে তিন বছরে মোট খরচ দাঁড়াচ্ছে ৫,৬৯২ টাকা। এতেই মিলবে আনলিমিটেড ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট। টিভি দেখার সুযোগও।