তাঁর পরিচয় শ্রীকৃষ্ণের বড় ভাই হিসেবে। তিনি প্রবল বলশালী। তাঁকে দৈহিক বলের অধিষ্ঠাতা হিসেবে কল্পনাও করা হয়েছে। হলধারী এই চরিত্র জড়িয়ে রয়েছেন ‘মহাভারত’-এর বহু জরুরি ঘটনার সঙ্গে। অথচ বলরাম সম্পর্কে তেমন চর্চা ভারতীয় সংস্কৃতিতে দৃশ্যমান নয়। একটু বদরাগী, আবার একই সঙ্গে সহজ-সরল বলরামকে দশাবতারের একজন বলে কল্পনাও করা হয়েছে অনেক সময়ে। এখানে উল্লিখিত হল তাঁর সম্পর্কে ১০টি তথ্য, যা অনেক সময়েই চোখ এড়িয়ে যায়।
১. কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে বলরাম কোনও পক্ষ অবলম্বন করেননি।
২. একজন আদর্শ ভ্রাতা হিসেবে বলরাম তুলনাহীন। বাল্যকাল থেকে কৃষ্ণ তাঁকে কম জ্বালাননি। তবু সবকিছু হাসিমুখে সহ্য করেছেন। বহু বিপদে কৃষ্ণকে আগলে রেখেছেন।
৩. বলরাম অত্যন্ত পত্নীনিষ্ঠ। স্ত্রী রেবতী তাঁর চাইতে ঢের বড়, একেবারে অন্য যুগের নারী। তাঁর প্রতি বলরামের প্রেম এতটাই দৃঢ় যে, তিনি দ্বিতীয় বিবাহের কথা ভাবেনইনি।
৪. বলরাম পূর্বজন্মে ছিলেন রামের ভ্রাতা লক্ষ্মণ। এবং তিনি শেষনাগের অবতার। দ্বাপর যুগের আরম্ভে শেষনাগ বিষ্ণুকে অনুরোধ করেন তাঁকে যেন তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হিসেবে একজন্ম কাটাতে দেওয়া হয়। বিষ্ণু তেমন বরই দেন। আর সেই কারণেই বলরাম হিসেবে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
৫. বলরামের অস্ত্র এক বিশাল লাঙল। তিনি এ কারণে ‘হলধারী’ নামেও পরিচিত।
৬. বলরামের দুই পুত্র— নিষ্ঠা এবং উল্মুক।
৭. বলরাম সর্বদা নীলাম্বরধারী।
৮. বলরাম ভীম এবং দুর্যোধনের গুরু। তাঁরা তাঁর কাছে গদাযুদ্ধ শিখেছিলেন।
৯. বলরাম তুমুল পানাসক্ত ছিলেন। এই আসক্তি নিয়ে অনেকবার অনেক রকম সমস্যাও হয়।
১০. গর্ভাবস্থায় তাঁকে দেবকীর উদর থেকে বসুদেবের আর এক পত্নী রোহিনীর উদরে স্থানান্তরিত করা হয়।