টেলিপাড়ায় প্রায় ৯০ শতাংশ ধারাবাহিকের শ্যুটিংয়ের কাজ বন্ধ। আকাশ ৮-এর ধারাবাহিকগুলি এবং কিছু নন-ফিকশন শো ছাড়া আর অন্য় কোনও প্রজেক্টের শ্যুটিং হয়নি গত শনিবার ১৮ অগস্ট থেকে। পরিস্থিতি যথেষ্ট সঙ্কটজনক এবং স্টার জলসা, জি বাংলা ও কালারস বাংলা-র বিভিন্ন স্লটে পুরনো এপিসোডগুলিই দেখানো হচ্ছে।
এই টেলি-ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কয়েক হাজার কলাকুশলীরা জড়িয়ে রয়েছেন এবং তাঁদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন তাঁদের পরিবার। অসংগঠিত হলেও এটি একটি ইন্ডাস্ট্রি এবং বহু মানুষের কর্মসংস্থানের জায়গা। তাই ‘সিরিয়াল বন্ধ হলে বাঁচা যায়’, ‘সব সিরিয়াল বন্ধ করে দিন’ ধাঁচের মন্তব্য যাঁরা করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে, সেগুলি একদিক থেকে দেখতে গেলে শিশুসুলভ।
শ্যুটিং বন্ধ নিয়ে বা প্রযোজক-শিল্পীদের মধ্য়ে বিরোধ নিয়ে খুব একটা কিছু মন্তব্য করতে না চাইলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সিরিয়াল-কিলার’-দের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বহু তারকারা। এর মধ্যে যেমন রয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষের মতো অভিজ্ঞ শিল্পী, তেমনই রয়েছেন টেলি-নায়ক জিতু কমল অথবা সানন্দা বসাকের মতো জনপ্রিয় টেলি-অভিনেত্রীরা।
এঁরা নিজের নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে এসে লিখেছেন যে ধারাবাহিক দেখতে ভাল না লাগলে না দেখতে পারেন দর্শক কিন্তু তা বলে হাজার হাজার মানুষের রুটি-রুজি জড়িয়ে রয়েছে যে পেশার সঙ্গে সেই পেশা চিরকালের মতো বন্ধ হয়ে যাক, এমনটা কখনোই কাম্য় নয়। শুধু তাই নয়, কিছু সংখ্যক মানুষের ভণ্ডামির প্রসঙ্গও তুলেছেন জিতু কমল, যাঁরা সর্বক্ষণ বাংলা ধারাবাহিকগুলির অন্তঃসারশূন্যতা নিয়ে মন্তব্য করেন অথচ তারকাদের দেখলে তাঁদের কাছে নিজের পরিবারের সদস্যদের কাজের জন্য তদ্বিরও করেন।
আসলে ধারাবাহিকের বিষয়বস্তু নিয়ে বাংলা টেলিভিশনের দর্শকের একাংশের মধ্যে অনেক ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভেরই হয়তো আংশিক বহিঃপ্রকাশ ঘটছে অ্যান্টি-সিরিয়াল পোস্টগুলিতে কিন্তু যাঁরা লিখছেন তাঁরাও জানেন, এটা কোনও সমাধান নয়।