হর্ষের সঙ্গে ডেবিউ করেছেন সইয়ামি খের। বিপদসংকেত তাঁর কেরিয়ারেও। তবে ছবি দেখে অনেকে হর্ষের উপর বাজি রাখছেন। যেমনটা লোকে রণবীর কপূরের উপর রেখেছিলেন। তাঁরও প্রথম ছবি ‘সাওয়ারিয়া’ ফ্লপের মাশুল গুনেছিল। সেই ছবিতে সোনমও ছিলেন। তখন অবশ্য অনেকেই সোনমকে পাত্তা দেননি। কিন্তু সেই পরিস্থিতিও বদলে গিয়েছে। আশা করা যায়, হর্ষও সেটা পারবেন। তাঁর হাতে এখনই বিক্রমাদিত্য মোটওয়ানে, শ্রীরাম রাঘবনের ছবি। অন্যদিকে আলিয়া ভট্টের প্রথম ছবি ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ হিট করলেও অভিনেত্রী হিসেবে তিনি কোনও নম্বর পাননি। সকলের ধারণা ভুল প্রমাণ করে দিয়ে আলিয়া ফেরত আসেন ‘হাইওয়ে’ দিয়ে। তারপর ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহনিয়া’, ‘টু স্টেটস’, ‘উড়তা পঞ্জাব’— তালিকা লম্বা।
সোনম কপূর
কেরিয়ার দাঁড় করাতে সোনমকে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। প্রথম ছবি ‘সাওয়ারিয়া’ ব্যর্থ।
সোনমের অভিনয় ক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন সকলেই! ‘দিল্লি সিক্স’, ‘আয়েষা’, ‘আই হেট লাভ স্টোরিজ’ সব ফ্লপ। সোনম তখন তাঁর ফ্যাশনিস্তা ইমেজ আর বেফাঁস কথাবার্তার জন্যই খবরে থাকতেন। ‘রাঞ্ঝনা’ হিট হলেও সকলে ধনুষের প্রশংসাই করলেন। ‘ভাগ মিলখা ভাগ’, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ হিট হলেও ভাল অভিনেত্রীর তকমা পেতে ২০১৬ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল সোনমকে। ‘নীরজা’র পর নিজের বদনাম খণ্ডন করলেন তিনি।
শ্রদ্ধা কপূর
‘আশিকি টু’এর আগে তিন বছর স্রেফ ব্যর্থতাই জুটেছে শ্রদ্ধার কপালে। কেরিয়ারের প্রথমেই ‘তিন পাত্তি’, ‘লাভ কা দি এন্ড’ ফ্লপ করেছিল। শক্তি কপূরের মেয়ে হিসেবেও বাড়তি কোনও সুবিধে করতে পারেননি শ্রদ্ধা।
সাফল্য মেলে তৃতীয় ছবিতে এসে। তার জন্য অবশ্য বেশ বড়সড় একটা ঝুঁকি নিয়েছিলেন তিনি। ‘যশ রাজ ফিল্মস’ তার সঙ্গে তিনটে ছবির চুক্তি করে। দু’টো ছবি ব্যর্থ হওয়ার পরেও ‘যশ রাজ’এর সঙ্গে চুক্তি মানে বিরাট ব্যাপার। কিন্তু মহেশ ভট্ট তাঁকে ‘আশিকি টু’এর প্রস্তাব দিলে শ্রদ্ধা সেই চুক্তি নাকচ করে দেন। ‘আশিকি টু’ সুপারহিট হওয়ায় শ্রদ্ধাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘এক ভিলেন’, ‘এবিসিডি টু’, ‘বাগি’ পর পর হিট। ‘রক অন টু’, ‘ওকে জানু’, ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’ রয়েছে তাঁর হাতে।
ক্যাটরিনা কাইফ
তিনি ভাল অভিনেত্রী, এ কথা এখনও কেউ বলবে না। ক্যাটরিনার হিন্দি উচ্চারণের জড়তাও বহাল।
তবে যা-ই ত্রুটি থাক না কেন, তাঁর স্ক্রিন প্রেজেন্স নিয়ে কোনও কথা হবে না! এই একটা কারণেই বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা হয়ে উঠেছেন তিনি। যতই প্রথম ছবি ‘বুম’ ব্যর্থ হোক। সলমন খানের সঙ্গে প্রেমপর্বে প্রচুর ছবি পেয়েছেন ক্যাটরিনা। হিটের ঝুলিও ভর্তি। সব নামী পরিচালকই ক্যাটকে নিয়ে কাজ করেছেন। ‘জগ্গা জাসুস’, ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ নিয়েই ক্যাটরিনা আপাতত ব্যস্ত।
রণবীর কপূর
তুমুল প্রত্যাশা ছিল রণবীর কপূরের উপর। ডেবিউয়ের জন্য বেছেছিলেন সঞ্জয় লীলা বনশালীর ‘সাওয়ারিয়া’।
বক্স অফিসে ছবি চূড়ান্ত ফ্লপ। তাতে কিন্তু রণবীরের কেরিয়ার টাল খায়নি। গোটা বলিউড বুঝে গিয়েছিল, এই ছেলে আগামী দিনের সুপারস্টার হতে চলেছে। প্রথম ঝাপটা সামলে নিয়ে রণবীর ফেরত এলেন ‘বচনা অ্যায় হসিনো’ নিয়ে। ছবি হিট। এরপর ‘ওয়েক আপ সিড’, ‘রকেট সিংহ: সেলসম্যান অফ দ্য ইয়ার’, ‘রাজনীতি’, ‘বরফি’, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’— নিজেকে আলাদা আলাদাভাবে সব ছবিতে তুলে ধরেছেন তিনি। মাঝে ফ্লপের মরসুম এলেও সকলে জানে, রণবীর আবার হিট নিয়ে ফেরত আসবেন।
আদিত্য রায় কপূর
দাদা ইউটিভি’র মালিক হলেও কেরিয়ারের শুরুটা একেবারেই ভাল যায়নি আদিত্যের। কেন্দ্র-চরিত্রও পাননি। ‘লন্ডন ড্রিমস’, ‘অ্যাকশন রিপ্লে’তে অঁসম্বল কাস্টের একজন ছিলেন। আদিত্যের কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ‘আশিকি টু’। নতুনদের মধ্যে তাঁর উপর ভরসা রাখছে বলিউড। যদিও আদিত্যের বেশ কয়েকটি ছবি তারপর ফ্লপ করেছে। নায়কের হাতে রয়েছে শ্রদ্ধা কপূরের সঙ্গে ‘ওকে জানু’।