সম্প্রতি বাংলা টেলিভিশনে তাঁকে ক্যারেক্টার রোল বা প্যারালাল লিড চরিত্রে দেখা যাচ্ছে বেশি কিন্তু বছর কয়েক আগে নায়িকা হিসেবেই তাঁকে চিনতেন বাংলা টেলিভিশনের দর্শক। ‘খনা’, ‘অরক্ষণীয়া’ বা ‘সোনারপুর লোকাল’-এর নায়িকা আয়েষা ভট্টাচার্য। নয় নয় করে ১৩ বছর কাটিয়ে দিলেন তিনি বাংলা টেলিভিশনে।
শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে ২০০৫ সালে, তারা মিউজিক-এর ‘ব্যোমকেশ বক্সী’-তে। এর পরে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁকে বহু ধরনের চরিত্রে দেখেছেন দর্শক। ‘লাবণ্যর সংসার’, ‘চ্যাম্পিয়ন’, ‘বয়েই গেল’, ‘রাগে অনুরাগে’— একের পর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক রয়েছে তাঁর টেলি-কেরিয়ারে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে ‘গাছকৌটো’, যেখানে প্যারালাল লিড চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এখন পুরোপুরি সময় দিচ্ছেন ‘কুন্দ ফুলের মালা’ ধারাবাহিকে।
মায়ের সঙ্গে আয়েষা। ছবি: ফেসবুক পেজ থেকে
কিন্তু অভিনয়ের পাশাপাশি টেলিভিশনের বহু দর্শকই তাঁকে মনে রেখেছেন ২০০৮ সালের ‘ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়র সিজন ১’-এর প্রতিযোগী হিসেবে। পরে অবশ্য অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বিশেষ পারফরম্যান্সও দেখেছেন দর্শক ওই একই মঞ্চে। সম্প্রতি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তাঁর একটি ডান্স ক্লিপ! তাঁর পারফরম্যান্স দেখে কে বলবে যে আয়েষা প্রথাবদ্ধ ভাবে কোনওদিন নাচই শেখেননি।
এখন গ্র্যাজুয়েশনের থার্ড ইয়ারের ছাত্রী আয়েষা। অভিনয় ও নাচের পাশাপাশি সমানতালে চলেছে পড়াশোনা, স্কুল ও কলেজজীবন। কী করে সামলে চললেন এতদিন এতকিছু? আয়েষা জানালেন, ‘‘এর পুরো ক্রেডিট প্রাপ্য আমার সুপারমমের। মা হল ইনপুট ডিভাইস আর আমি আউটপুট ডিভাইস।’’ নীচে রইল সেই ক্লিপ—