এবছর প্রায় একই সঙ্গে দু’টি বলিউড ছবি মুক্তি পেতে চলেছে, প্রায় ব্যাক টু ব্যাক বলা যায়। তার আগে এবেলা ওয়েবসাইটকে দিলেন বিশেষ সাক্ষাৎকার। পড়ুন সেই সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ—
এবেলা.ইন: সামনেই তো বলিউড রিলিজ, ‘মেরি প্যারি বিন্দু’...
রজতাভ: হ্যাঁ, এবছর দুটো হিন্দি ছবি মুক্তি পাবে। ‘মেরি প্যারি বিন্দু’ এবং ‘জগ্গা জাসুস’।
এবেলা.ইন: আপনার চরিত্রগুলি সম্পর্কে যদি কিছু বলেন।
রজতাভ: ‘জগ্গা জাসুস’-এ আমার চরিত্রটি খুব বড় নয় তবে আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং। দারুণ একটা ছবি, আমার কাজ করে খুব ভাল লেগেছে। ছবির ট্রেলার দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে এরকম ছবি এর আগে এদেশে হয়নি। ‘মেরি প্যারি বিন্দু’-র চরিত্রটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটাগনিস্টের বাবার চরিত্র। তবে খুব বেশি কথা চরিত্রগুলি নিয়ে এখন বলতে চাইছি না। আর কিছুদিন পরেই সবাই দেখবেন।
আরও পড়ুন
বলেছিলাম পরিচালক ফোন না করলে কাজ করব না: অপরাজিতা আঢ্য
এবেলা.ইন: রণবীর-ক্যাটরিনা-পরিনিতিদের সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?
রজতাভ: খুব ভাল লেগেছে। ওঁরা প্রত্যেকেই খুব প্রফেশনাল। ক্যাটরিনার সঙ্গে খুব বেশি ইন্ট্যার্যাকশন হয়নি। আমার দৃশ্যগুলি মূলত রণবীরের সঙ্গেই ছিল। একটা জিনিস বলব অবশ্যই, শ্যুটিংয়ে কিন্তু এঁরা কেউ একেবারেই তারকাসুলভ নন এবং সহ-অভিনেতা বা সহ-অভিনেত্রীদের অত্যন্ত সম্মান করেন। রণবীরের একটা ব্যাপার খুব ভাল লাগত। শট দেওয়ার পরে সামনে হয়তো একটা সিঁড়ি রয়েছে। রণবীর চট করে সেখানে বসেই স্মার্টফোন ঘাঁটতে শুরু করে দিলেন। আয়ুষ্মান-পরিনিতির কথাও বলব। অসম্ভব ভদ্র। আমার পর্বের শ্যুটিং শেষ হওয়ার পরে পরিনিতি বললেন, আবারও আপনার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ যেন আসে। হয়তো এটাই ওঁদের প্রফেশনালিজম, হয়তো এভাবেই ওঁরা কাজের জায়গায় আচরণ করেন। সেটা যাই হোক না কেন, এই সৌজন্যটুকু সত্যিই ভাল লাগে।
এবেলা.ইন: এই সৌজন্যটা বাংলা ছবির জগতে আপনি পান?
রজতাভ: আসলে আমি তো দু’দশকের উপর হল কাজ করছি। তাই এখন আর অন্য রকম কোনও আচরণ আমার সঙ্গে হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর আমাকে কখনও অসৌজন্যমূলক কোনও কিছুর সম্মুখীন হতেও হয়নি। তবে এটা যে কারও সঙ্গে হয় না, সেটা বলব না।
এবেলা.ইন: আপনি কি এবার তাহলে বলিউডে ফোকাস করবেন?
রজতাভ: না, তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। কিন্তু ভাল কাজ এলে অবশ্যই করব।
এবেলা.ইন: আপনি তো ইচ্ছে করলে অনেকদিন আগেই বলিউডে শিফট করতে পারতেন।
রজতাভ: আসলে আমি সেটা ঠিক চাইনি। আর অভিনয়কে ওইভাবে অ্যাম্বিশন হিসেবে দেখি না। আমি আমার পরিচিত জায়গায়, আমার কমফর্ট জোনের মধ্যেই ভাল কাজ করে, সেটা থিয়েটার হোক বা ছবি, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে, জীবনটা কাটাতে চাই।