গান গাইতে গিয়ে মঞ্চে উঠে হেনস্থার শিকার হলেন গায়িকা সোমলতা আচার্য চৌধুরী। গায়িকা নিজেই ফেসবুক লাইভে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
ধূপগুড়ির কালিরহাটে দেওয়ানচন্দ্র হাইস্কুলের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে শুক্রবার গান গাইতে যায় সোমলতার ব্যান্ড ‘সোমলতা অ্যান্ড দ্য এসেস’। স্কুলটিতে এই প্রথম এত বড় করে অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে বলে জানান সোমলতা। তাই দর্শকাসনে ছিল প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। ছিল স্কুলের পড়ুয়ারাও।
সোমলতা জানান, অনুষ্ঠান চলাকালীন, অন্য কাউকে মঞ্চে উঠতে তিনি সেভাবে অনুমতি দেন না। কিন্তু অর্ণব সাহা নামে স্কুলেরই এক শিক্ষক বার বার মঞ্চে উঠে আসার চেষ্টা করছিলেন। ওই শিক্ষক নিজেকে এক দৈনিক বাংলা সংবাদপত্রের স্থানীয় রিপোর্টার হিসেবেও দাবি করেছিলেন। বহু বার বারণ করা সত্ত্বেও তিনি মঞ্চের ধারে দাঁড়িয়েছিলেন বলে লাইভে জানান সোমলতা ও তাঁর ব্যান্ডমেটরা। সেই সময়ে তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেও দাবি করেন গায়িকা।
এরপরে অনুষ্ঠানের মাঝেই মাইকে অর্ণব সাহ তিনি বলতে থাকেন, সোমলতার গান কেউ শুনতে পাচ্ছেন না। দর্শকাসনে উপস্থিত পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘তোমরা কেউ গান শুনতে পাচ্ছ?’’ অদ্ভুত ভাবে যাঁরা গানের সঙ্গে গলা মেলাচ্ছিলেন, তাঁরাও বলেন যে গান শোনা যাচ্ছে না। এরপরেই পড়ুয়াদের উশকানি দিতে অর্ণব সাহা বলেন, ‘‘তোমরা এত টাকা খরচ করে এই অনুষ্ঠান দেখতে এসেছ। অথচ গানই শুনতে পাচ্ছ না।’’ এমনই জানান সোমলতা।
দেখুন ভিডিও
অনুষ্ঠানে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার সোমলতারাই নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারকেও কটূক্তি করতে শুরু করেন অর্ণব সাহা।
অনুষ্ঠান শেষ হলে, সোমলতাকে হোটেলে ফিরে যাওয়ার জন্য ছেড়ে দিলেও, ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্যদের আটকে রাখার পরিকল্পনা ছিল অর্ণব সাহার। সোমলতার দাবি, ‘ওদের আটকে রেখে, টাকা ফেরত নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল হয়তো।’’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ পুলিশের সহায়তায় সোমলতা ও তাঁর ব্যান্ডের সদস্যরা নিরাপদে হোটেল পৌঁছন এবং সেখান থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছন।
১৫ হাজার জনতার মধ্যে যেভাবে রোষ ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন অর্ণব সাহা, তা দেখে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সোমলতা। উত্তরবঙ্গ পুলিশের সাহায্য ছাড়া যে সহজে বেরনো যেত না, তা-ও জানান গায়িকা।