বলিউড দুনিয়ায় ‘কাস্টিং কাউচ’ কথাটি বেশ পরিচিত। সোজা কথায় এর অর্থ— কাজ পাওয়ার জন্য কোনওরকমের আপোস করা। এই আপোসের কোনও নির্দিষ্ট পরিধি নেই। বলিউড জগতে কান পাতলে শোনা যায়, অনেক নায়িকাই কাজ পাওয়ার জন্য নাকি পেশার বাইরে গিয়ে প্রযোজক, পরিচালক বা অন্য কোনও প্রভাবশালী ফিল্ম-ব্যক্তিত্বের বেডরুম পর্যন্ত গিয়েছেন। এখানে রইল সেরকমই কয়েকজন নায়িকার কথা যাদের নিয়ে রটেছে কাস্টিং কাউচ বিষয়ক কুৎসা—
১. কঙ্গনা রানৌত:
‘তনু ওয়েডস মনু’ ফিল্মে কাজ পাওয়ার জন্য কঙ্গনাকে নাকি অশালীন প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। প্রোডাকশন হাউজের কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব নাকি তাঁকে সরাসরি বলেন, কাজ পেতে হলে কঙ্গনাকে তাঁর শয্যাসঙ্গী হতে হবে। কঙ্গনা সেই প্রস্তাবে সম্মত হননি। তবে তাতে এই ফিল্মের কাজ থেকে শেষ পর্যন্ত বঞ্চিত হতে হয়নি তাঁকে। পরবর্তীকালে কঙ্গনা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবনের এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার কথা জানান।
২. মমতা কুলকার্নি:
বিখ্যাত পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী নাকি ‘চায়না গেট’ ছবির কাজ করার সময়ে কোনও একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে মমতা কুলকার্নিকে নাকি যৌন প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মমতা সেই প্রস্তাবে সম্মত না হলেও কিঞ্চিৎ আপোস নাকি তিনি করেছিলেন বলেই গুজব শোনা নয়।
৩. মমতা প্যাটেল:
‘পান সিং তোমর’ ফিল্মে অভিনয়ের সময়ে মমতাকে নাকি ‘কুপ্রস্তাব’ দিয়েছিলেন খোদ অভিনেতা ইরফান খান। সেই প্রস্তাবে তিনি সম্মত হননি বলেই দাবি করেন মমতা।
৪. পায়েল রোহাতগি:
পায়েল অশোভন প্রস্তাবের অভিযোগ তোলেন পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। দিবাকরের কাছে তাঁর ছবি 'সাংহাই'-এ একটা রোল দেওয়ার আব্দার রেখেছিলেন পায়েল। তার বিনিময়ে পায়েলকে নাকি তাঁর পোশাক খুলতে বলেন দিবাকর। অপমানিত পায়েল এই কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে দেন।
৫. প্রীতি জৈন:
২০০৪ সালে প্রীতি জৈন পরিচালক মধুর ভান্ডারকর-এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। কোর্টে দাঁড়িয়ে পায়েল বলেন, ফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪-এর মধ্যে তাঁকে মোট ১৬ বার ধর্ষণ করেছিলেন মধুর। পরিচালক, বলা বাহুল্য, এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন