ইনস্টাগ্রামে সুবিধে কী?
ইনস্টাগ্রাম মূলত ফোটো শেয়ারিং সাইট। ফেসবুকের মতো বিশেষ লেখালিখির ঝামেলা নেই। শুধু ছবি আর ক্যাপশন দিলেই হল!
স্মার্টফোন আর সেল্ফি পাগলদের যুগে ছবি নিয়ে মাতামাতি সবচেয়ে বেশি। তাই এই নেটওয়ার্কিং সাইটের জনপ্রিয়তাও স্বাভাবিক।
ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে হয় নিজের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হয় বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। তাই অ্যাকাউন্ট খোলার সময় নিরাপত্তা যাচাইয়ের পদ্ধতি বেশি পোক্ত। ভুয়ো অ্যাকাউন্ট যে একেবারে নেই, তা নয়। তবে সেগুলো ধরে ফেলার উপায় সহজ। এমনিতেও ‘ব্লু টিক’ না পড়লে কেউ কোনও অ্যাকাউন্ট সহজে ফলো করবে না।
পছন্দের সেলিব্রিটিকে ফলো করা সহজ। তবে সার্চবারে প্রোফাইল সার্চ করা ছাড়াও কোনও ছবির দিকে নজর টানতে চাইলে সেটাও বেশ সহজ। হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করলেও অন্যদের ফিডে ছবি চলে আসবে। তাতে যাঁরা আপনার ফলোয়ার নন, তাঁরাও আপনার কাজ দেখতে পাবেন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী যে ছবি যত বেশি জনপ্রিয়, সকলের ফিডে তত বেশি দেখা যাবে। তাছাড়াও পছন্দের সেলেবরা কখন কী পোস্ট করছেন, সেটা তখনই জানার জন্য বিশেষ নোটিফিকেশন পাওয়ারও উপায় রয়েছে।
কারও পোস্ট করা ছবি অন্যেরা যেমন তেমনভাবে শেয়ার করতে পারে না। একমাত্র ‘রিপোস্ট’ বলে অন্য একটা অ্যাপ ডাউনলোড করলে সেটা করা যেতে পারে।
ছবির চৌকো আকার ইনস্টাগ্রামের বিশেষত্ব। নানা রকম কোলাজও করা যায়। পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম নিজস্ব কিছু মজার অ্যাপও বার করেছে। তার মধ্যে ‘বুমেরাং’ অ্যাপটা সেলেবদের বেশ প্রিয়। ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করে ‘লুপ’এ প্লে করা যায় এই অ্যাপে। ফলে যা-ই করবেন, দেখতে মজাদার হবে! আরেকটা অ্যাপ রয়েছে ‘স্লোমোগ্রাম’। যে কোনও ভিডিও স্লো মোশনে প্লে করবে এই অ্যাপ। ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড মুছে পছন্দের গানও দিতে পারেন ভিডিওর সঙ্গে।
সেলেনা গোমেজ
ফলোয়ার সংখ্যা:
প্রায় সাড়ে আট কোটি
প্রিয় বান্ধবী টেলর সুইফ্টকে পিছনে ফেলে গত বছরই তিনি প্রথম স্থান দখল করেছেন। খুব ঘন ঘন ছবি পোস্ট করেন না। জাস্টিন বিবারের অনুগামীরাও তাঁকে ফলো করেন।
টেলর সুইফ্ট
ফলোয়ার সংখ্যা:
আট কোটি ২৫ লক্ষের কাছাকাছি।
বান্ধবীদের সঙ্গে উল্লাস আর পোষ্যের সঙ্গে খুনসুটির ছবি বেশি পাওয়া যায় তাঁর ফিডে। সম্প্রতি কেলভিন হ্যারিসের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর তাঁদের দু’জনের সব ছবি সরিয়ে নিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম থেকে।
কিম কারদাশিয়ান
ফলোয়ার সংখ্যা: সাত কোটি ৪৬ লক্ষ
দুনিয়াকে সেল্ফি তুলতে শিখিয়েছিলেন তিনি! কেনিয়ে ওয়েস্টের সঙ্গে বিয়ের ছবি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ‘লাইক’ পেয়েছিল। এখন ফিডে মেয়ে নর্থ আর তাঁর নিতম্বের ছবিই বেশি থাকে!
সেলেবদের কেন পছন্দ?
ফেসবুকে কারও অফিশিয়াল পেজ থাকলে সেটা তাঁর নিজের প্রচারের জন্যেই বেশি ব্যবহার করেন। কোনও বিষয়ে মতামত প্রকাশ করার জন্য টুইটার রয়েছে। অনেকে ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্যেও টুইটার ব্যবহার করেন। ইনস্টাগ্রাম তাঁদের মজার জায়গা। ব্যক্তিগত ‘স্পেস’
বলা যায়।
কোথাও বেড়াতে যাওয়ার ছবি, পরিবার, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ছবি, ব্রেকফাস্ট বা ডিনার, অবসর সময়, সব রকম ছবিই পোস্ট করার জায়গা ইনস্টাগ্রাম। সে কোনও কনসার্টের ছবি হোক বা ট্রাফিকে ফেঁসে থাকার সময়কার সেল্ফি।
সেলেবদের ইনস্টাগ্রাম ফিড তাঁদের জীবনের একান্ত অ্যালবাম বলা যেতে পারে। কার ব্যক্তিত্ব কতটা মজাদার সেটা বোঝা যায় তাঁদের ছবি দেখে। আবার তাঁদের জীবনে কখন কী ঘটছে, সেটাও চট করে জানা যায় তাঁদের ছবি দেখেই। বেয়ন্সে লম্বা চুল কেটে যখন পিক্সি কাট করেছিলেন, তাঁর ইনস্টাগ্রাম ফলোয়াররা সবচেয়ে আগে জানতে পেরেছিলেন।
পছন্দের তারকাদের বিনা মেকআপ’এ বা ঘুম থেকে ওঠার পরেই কেমন দেখতে লাগে, এসব জানতে হলে তাঁদের ইনস্টাগ্রামে ফলো করুন। কারণ এই নেটওয়ার্কিং সাইটেই সাধারণত তারকারা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি দিয়ে থাকেন।
ইনস্টাগ্রামে তারকারা হালকা মেজাজে থাকেন। টুইটারের তুলনায় এখানে ট্রোলিং কম হয়। তাই টেলর সুইফ্ট উল্টো সোয়েটার পরে শপিং করতে গেলে, সহজেই সেই ছবি পোস্ট করতে পারেন। বা কোনও সুপারমডেলের গালে পিম্পল হলে সে ছবিও নির্দ্বিধায় পোস্ট করতে পারেন।
ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করার আগে বিভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার করে এডিট করে নেওয়া যায়। ছবি যেমনই তোলা হোক, তা মুহূর্তে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ফেসবুকে সেই সুবিধা কম।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া
ফলোয়ার সংখ্যা: ৮০ লক্ষ
হলিউডে জনপ্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যাও। কখন কোথায় কী করছেন, কীসের শ্যুটিং শুরু বা কবে শেষ, সব জানা যায় তাঁর ফিড দেখেই।
আলিয়া ভট্ট
ফলোয়ার সংখ্যা:
৭০ লক্ষের বেশি
পোষ্যের সঙ্গে মিষ্টি ছবি বা শ্যুটিং ফ্লোর থেকে সেল্ফি পোস্ট করে থাকেন আলিয়া। ইদানীং বিভিন্ন হেয়ারস্টাইলের ছবি খুব পোস্ট করছেন তিনি।
সোনম কপূর
ফলোয়ার সংখ্যা:
৫৯ লক্ষ
ফ্যাশনিস্তার ডায়েরি বলা যেতে পারে সোনমের ফিডটাকে। যখন যেখানে যান, সেজেগুজে একটা ছবি পোস্ট করে ফেলেন।