আগামিকাল, সোমবারই জানা যাবে অস্কারের ফল। সেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা নাম কিনেছেন বটে। তবে এর আগে মাত্র দু’জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত গিয়েছেন অস্কারের মঞ্চে মনোনীত হয়ে। এ বছর গেলেন দেব পটেল। দেব সবে তিন নম্বর। ‘লায়ন’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে সেরা অভিনেতার ক্যাটেগরিতে মনোনীত তিনি। অভিনয়ের ক্যাটেগরিতে গোটা এশিয়ার ইতিহাসে তিনি হলেন ১৩ নম্বর। অস্কারে এশিয়ার প্রতিনিধিত্বের কথা ভাবলে, যা বলার মতো কিছু নয়।
১৯৮৩’তে রিচার্ড অ্যাটেনবরো পরিচালিত ‘গাঁধী’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার অস্কার পেয়েছিলেন বেন কিংগসলে। ২০০৪ সালে বেন ‘হাউস অফ স্যান্ড অ্যান্ড ফগ’ ছবির জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। প্রায় ১৩ বছর আগের কথা! বেন তাঁর কেরিয়ারে অস্কার পেয়েছেন চারটে। তারও আগে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন অভিনেত্রী মেরলে ওবেরন। ১৯৩৫ সালে। ‘দ্য ডার্ক এঞ্জেল’ ছবির জন্য। বেনের শরীরে গুজরাতি রক্ত রয়েছে। ওবেরন আবার হাফ দেশি, হাফ শ্রীলঙ্কান। জীবনের অনেকটা সময় নিজের শিকড় সন্ধানে কাটিয়ে দিয়েছিলেন। একমাত্র তিনিই সেরা অভিনেত্রীর জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। এমনকী, তাঁকে ভারতীয় পরিচয়টুকু লুকোতে বাধ্য করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার বাসিন্দা হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল সেই সময়। মনোনয়নের নিরিখে ওবেরন যদি সেরা অভিনেত্রীর জন্য এখনও পর্যন্ত একজনই হয়ে থাকেন, তাহলে মাসুদ বেহরানি হলেন সেই মানুষটি যিনি বেন কিংগসলে ছাড়া আরেকজন সেরা অভিনেতার ক্যাটেগরিতে মনোনীত হওয়া এশীয়।
দেব পটেল এতদিনে অস্কারে জনপ্রিয় নাম। ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’এর জন্য ২০০৮’এর অস্কার সন্ধ্যায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তারপর প্রায় সবক’টা অস্কারেই। এ আর রহমান, রেসুল পুকুট্টি তো পেয়েওছিলেন অস্কার। বিশ্বজুড়ে ‘অস্কারস সো হোয়াইট’ নিয়ে যখন বিতর্ক হয়, তখন এশীয়দের মনোনয়ন নিয়ে কেন কেউ কথা বলে না কে জানে!