ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে হয়তো নির্দিষ্ট স্লটে পছন্দের ধারাবাহিকটি দেখা হচ্ছে না অনেকের কিন্তু তা বলে রিপিট টেলিকাস্ট কিন্তু মিস করছেন না টেলিপর্দার একনিষ্ঠ দর্শক। পুজোর ক’দিন টেলিপাড়া ছুটি। বিনোদন চ্যানেলগুলিতে সীমিত সংখ্যক স্টাফ রোটেশন অনুযায়ী হাজিরা দিচ্ছেন, আগে থেকে সেট করে রাখা অনুষ্ঠানগুলি যাতে কোনও বাধাবিঘ্ন ছাড়াই সম্প্রচার হয় তা দেখার জন্য। তা বাদে, এখন ছুটি কাটাচ্ছেন এগজিকিউটিভ প্রোডিউসাররা, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ও চিত্রনাট্যকারেরা এবং যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য বহু আগে থেকেই নেওয়া হয় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
একাধিক ধারাবাহিকেই কিন্তু গল্পের মধ্যেই রয়েছে শারদোৎসব। কোথাও বাড়ির সকলে মিলে পুজো দেখতে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন, প্যান্ডাল হপিংয়ের সিকোয়েন্স দেখানো হচ্ছে, আবার কোথাও হয়তো গল্পেরই কোনও চরিত্রের বাড়িতে চলছে দুর্গাপুজোর আয়োজন। এই সব এপিসোডের শ্যুটিং কিন্তু শেষ হয়ে গিয়েছে চতুর্থীর মধ্যেই। তার পরে সেগুলির এডিটিং করে ফাইনাল এপিসোড চ্যানেলে জমা পড়ে গিয়েছে ষষ্ঠীর দিন। তবেই সব কিছু নিঁখুত ভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে চ্যানেলে যাতে দর্শক শারদোৎসবের আনন্দের মধ্যেও তাঁদের প্রিয় ধারাবাহিকগুলি দেখতে পারেন।
তাই পুজোর যে সমস্ত সিকোয়েন্সগুলি দর্শক এখন দেখছেন, এই সবের শ্যুটিংয়ের খাতিরে কিন্তু মহালয়ার আগেই বহু শ্যুটিং ফ্লোরে পৌঁছে গিয়েছিল অর্ডার দেওয়া প্রতিমা। আর্ট ডিপার্টমেন্ট সেখানে দক্ষতার সঙ্গে তৈরি করেছিলেন পুজোর সেট এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে সব নিয়ম মেনেই শ্যুটিং করা হয়েছে পুজোর আচার। অর্থাৎ একদিক থেকে দেখলে আসল পুজোর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে টেলিপর্দার পুজো। তবেই না কয়েকদিন একটু বিশ্রাম পেয়েছেন শ্যুটিং থেকে পোস্ট প্রোডাকশন, সমস্ত কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য পেশাদারেরা। তবেই এই চারটে দিন তাঁরা কাটাতে পারছেন পরিবারের সঙ্গে।