বেড়াতে যাওয়া আর ঘুরে বেড়ানোর মধ্যে যে সূক্ষ্ম বিভেদটি রয়েছে, তা বোঝাতে গেলে বেশ বেগ পেতে হবে। কেউ নিছক ছুটি কাটাতে বা রিল্যাক্স করতে কাছেপিঠেই চলে যান। আবার কেউ যান কর্মজীবন থেকে কয়েকটা দিন বের করে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য।
আরও এক ধরনের পর্যটক রয়েছেন, যাঁরা প্রায় একবস্ত্রে বেরিয়ে পড়েন নিরুদ্দেশের পথে। এবং পছন্দের জায়গায় পৌঁছে, তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাওয়াতেই তাঁদের সুখ। সে স্থানের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ‘ডিটেল’-ও তখন পাওয়া যায তাঁদের ঝোলায়।
সেই তালিকায় নাম লেখাতে পারেন আপনিও। তার জন্য রইল রাজস্থান নিয়ে এমনই কিছু তথ্য—
ভুলে যান ‘এম্পোরিয়ম’। সটান পৌঁছে যান জয়পুরের জোহরি বাজার। কলকাতার হাতিবাগান বা গড়িয়াহাটের মতো
এখানেও নিশ্চিন্তে দরাদরি করতে পারেন। কিছু না কিনে, শুধুমাত্র দেখেই মন ভরে যাবে আপনার।
পাঁচতারা বা কেতাদুরস্ত কোনও হোটেলে না খেয়ে, চেখে দেখুন রাস্তার ধারের খাবার।
আর কপাল ভাল থাকলে, আগ বাড়িয়েই কোনও গেরস্তের বাড়ির আমন্ত্রণ নিয়ে নিন।
সেজে উঠুন সে রাজ্যের ঝলমলে পোশাকে। পরে দেখতে পারেন রাজস্থানের রঙিন পাগড়িও।
উঠোন না হয় বাঁকাই হল। তা সত্ত্বেও ভাগ নিতে পারেন রাজস্থানের লোকনৃত্য ‘কালবেলিয়া’য়।
শুধুই কি দুর্গ! ঘুরে দেখুন সেখানকার পুরনো ‘হাভেলি’গুলি। ঐতিহ্য ও শিল্পকলার এক অদ্বুত মিশেল।
যেখানেই যান না কেন, সেখানকার ‘কুইজিন’ অবশ্যই টেস্ট করবেন। তাই, রাজস্থানের
‘ঘেবর লাড্ডু’ যেন কোনওভাবেই বাদ না যায় আপনার পাগলামির তালিকা থেকে।
রাজস্থান যখন, তখন উটের সওয়ারিও ‘মাস্ট’। মরুরাজ্যের অন্দরে চলে যান দিন শেষের শুরুতেই। উপভোগ করুন বালিয়াড়ির সোনালি আভা।
আরও পড়ুন
• রাজস্থানের গ্লসিয়াদের চেনেন? ‘লিভ-ইন’ করাই এঁদের সমাজের রীতি
• এবার শীতের নতুন ‘ডেস্টিনেশন’ হোক মাড়োয়ারিদের ‘হাভেলি’
• ২০ হাজার ইঁদুরের বাস। এই মন্দিরের কাহিনি পড়লে চমকে যাবেন!