রাজার মন খারাপ। এমনই এক কারণে মনের গহীনে একটা বেদনা বহন করেন বলিউড বাদশাহ, যা সে ভাবে বলে ওঠাই হয়ে ওঠে না।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খোলাখুলি বলেছেন তাঁর জীবনের সেই স্বপ্নটির কথা, যা কোনও দিন সফল না-ও হতে পারে। সাম্প্রতিক সেই সাক্ষাৎকারে এসআরকে জানিয়েছেন, তাঁর ড্রিম প্রোজেক্ট মহাকাব্য ‘মহাবারত’-এর চলচ্চিত্রায়ণ। বহু বছর ধরে তিনি এই স্বপ্নকে লালন করে আসছেন। তাঁর কল্পনায় তাঁর ‘মহাভারত’ হবে এক আন্তর্জাতিক প্রোডাকশন। ফলে তার বাজেটও হবে আকাশ-ছাড়ানো।
মেগাহিরোর নিজের কথায়, এমন প্রকল্পের প্রযোজক কোথায়? তাঁর নিজের পক্ষে তা সম্বব নয়। কিন্তু ভারতের প্রযোজকরা কি ততটা পারবেন? এই প্রশ্ন তাঁর নিজের কাছে নিজেরই। আবার এ কথাও সত্য, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় ছবির বাজারটাও সীমিত। কিন্তু, তাঁর স্বপ্নের ‘মহাভারত’ একটা আন্তর্জাতিক প্রযোজনাই দাবি করে। আর তার জাঁকজমক ‘বাহুবলী’-কেও ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি, এ কথাও জানিয়েছেন শাহরুখ।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় বড় পর্দায় ‘মহাভারত’ কোনও দিনই তেমন কল্কে পায়নি, যতখানি পেয়েছে ‘রামায়ণ’। এর একটা কারণ যেমন ‘মহাভারত’-এর কাহিনিগত জটিলতা, আর একটি কারণ তেমনই এর সম্ভাব্য বাজেট। কানাঘুষোয় এখনও শোনা যায়, স্বয়ং সত্যজিৎ রায় মহাভারতের পাশাখেলার পর্যায়টিকে কেন্দ্র করে তুলতে চেয়েছিলেন একটি ছবি। এমনকী, পরে ঋতুপর্ণ ঘোষও নাকি স্বপ্ন দেখেছিলেন ‘মহাভারত’-এর চিত্রায়ন নিয়ে। কিন্তু কোনওটাই হয়ে ওঠেনি। পিটার ব্রুকের ‘মহাভারত’ ছাড়া আর তেমন কোনও আন্তর্জাতিক প্রযোজনাও ঘটেনি এই মহাকাব্যকে ঘিরে।
এখন, স্বপ্ন দেখছেন এমন একজন, যাঁর করতলে ক্ষমতা আর অর্থ লুটোপুটি। কিন্তু সেখানেও যে বিষাদ থাবা গেড়ে রয়েছে, তা কে জানত?