একদিকে রকমারি গেম। আরেকদিকে ইতালীয় থেকে চাইনিজ— জিভে জল আনা নিরামিষ পদ। সঙ্গে নানা রং আর স্বাদের লা-জবাব মকটেল। তিনে মিলে সল্টলেকের স্পোর্টস ক্যাফে, স্ম্যাশ স্ট্রিট।
ছুটির দুপুরে, অথবা দিনভর ব্যস্ততার পরে সন্ধ্যায় চিলতে অবকাশে এখানে অনায়াসে হতে পারে হুল্লোড়-যাপন। ‘‘আমরা কোনও বিশেষ এজ গ্রুপের কথা মাথায় রেখে স্ম্যাশ স্ট্রিট’কে সাজাইনি। চেয়েছিলাম, এটা হয়ে উঠুক ফ্যামিলি এনটারটেনমেন্ট সেন্টার,’’ বললেন ম্যানেজার এরিক জোসেফ।
স্ম্যাশ স্ট্রিট’এর অন্দরসজ্জা বেশ ‘কোয়ার্কি’। একাধারে গেম বার এবং খানা-ঠেক বলে গেমের অন্ত নেই এখানে। ১৮০০ স্কোয়্যার ফিট জায়গা জুড়ে রয়েছে শ্যুটিং গেম, লেজার ট্যাগ। পুল আর সকারের মজাদার মিলমিশে তৈরি হয়েছে পুল বল— যেখানে খেলার নিয়মগুলো পুল খেলার মতোই। কিন্তু খেলতে হয় সকারের মতো পা দিয়ে!
চেনাশোনা পুল টেবিলও রয়েছে অবশ্য। রেসিং গেম যাঁরা ভালবাসেন, আইফিনিটি’তে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না। দেওয়াল-জোড়া পরদার সামনে বসে কার রেসিংয়ের উত্তেজনায় নিজেকে সেঁকে নেওয়ার মজাই আলাদা! এক ফাঁকে খেলে নিতে পারেন ফুসবল কিংবা এয়ার হকিও। এরিক জানালেন, এ ছাড়াও রয়েছে রকমারি বোর্ড গেম। ডার্ট বোর্ডে হাতের টিপও পরখ করে নিতে পারেন ইচ্ছে হলে।
স্ম্যাশ স্ট্রিট’এর গোটা সিলিংটাই একটা রাস্তার মতো। জেব্রা ক্রসিং, ঘাসের ফুটপাথ, দু’পাশে বাড়ির দরজা-জানলা— সবই রয়েছে সেই রাস্তায়। রেস্তোরাঁর দেওয়ালে ইতিউতি ছড়ানো অজস্র ফোটো ফ্রেম।
সেগুলোয় ধরা রয়েছে রকমারি ‘পাঞ্চলাইন’, ছবির সংলাপ, গানের লাইন। কোনওটায় লেখা ‘কানুন কে হাত বহোত লম্বে হোতে হ্যায়’, কোথাও, ‘আই অ্যাম আ ডিস্কো ডান্সার’, কোথাও আবার ‘কশন: প্লিজ কিপ ইওর ডিসট্যান্স, আই মাইট ফল ফর ইউ’! এক কোণে টুকটুকে লাল সেল্ফি বুথ। দেখতে ফোনবুথের মতোই। পাশে নানা প্রপও রাখা। রঙিন সেল্ফি তুলে নেওয়ার সব আয়োজনই পরিপাটি!
খানা-তালিকার ইউএসপি হল সুস্বাদু নিরামিষ খাবার। এরিকের বয়ান, ‘‘মেক্সিকান, পিৎজা, চাইনিজের পাশাপাশি পনির টিক্কা স্যান্ডউইচও রয়েছে তালিকায়। অ্যালকোহল নেই। ভবিষ্যতেও রাখার কোনও পরিকল্পনা নেই। অতিথিরা আসুন, খেলাধুলোয় মাতুন। তারপর চাইলে পছন্দমতো খাবার বেছে নিন মেনু থেকে!’’
• কোথায়: স্ম্যাশ স্ট্রিট, সেকেন্ড ফ্লোর, সিএফ-২০৩, সেক্টর ওয়ান, সল্টলেক, কলকাতা: ৭০০০৬৪
• কখন: সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা
• কত: দু’জনের জন্য মোটামুটি ৫০০ টাকা (কর সমেত)। বিভিন্ন গেমের খরচ মোটামুটি ৫০ টাকা থেকে ২৩৫ টাকার মধ্যে (কর সমেত)
পিৎজার ডো’টা নিজেরাই তৈরি করেন এঁরা। টপিংয়ে দেওয়া হয় মোজারেলা চিজ, বেল পেপার, ভুট্টা ইত্যাদি। অলিভ দিয়ে তৈরি নেপোলিটান সস পিৎজার স্বাদকে বাড়িয়ে
দেয় কয়েক গুণ।
শেফ সিগনেচার স্যালাডের উপকরণ হল বেল পেপার, অলিভ, টোফু আর লেটুস। ড্রেসিংয়ে ব্যবহার করা হয় অরেঞ্জ মেয়ো। কমলালেবুর রস ঘন করে মেয়োনিজ মিশিয়ে নেওয়া হয় তার সঙ্গে। নানা রকমের সব্জির সঙ্গে টকমিষ্টি এই ড্রেসিং দিব্যি মিশে যায়। | ![]() |
![]() |
ইতালির বিখ্যাত পদ স্প্যাগেটি অ্যাগলিও অলিও। অলিভ অয়েল আর পারমেজান চিজ এই পদের মূল দুই উপকরণ। স্বাদ বাড়াতে দেওয়া হয় অরিগ্যানো আর চিলি ফ্লেকও। |
কমলালেবু আর আনারসের রস দিয়ে তৈরি হয় মকটেল, সানরাইজ। ভারী মিঠে রং। খেতে বেজায় ‘রিফ্রেশিং’। | ![]() |
![]() |
স্ম্যাশ স্ট্রিট’এর ‘হাউজ স্পেশ্যাল’ এই মকটেল। কফি, হ্যাজেলনাট, সামান্য পুদিনা আর দারচিনি। সঙ্গে চকোলেট আর ফ্রেশ ক্রিমের পরত। |