এসে গেল বহু প্রতীক্ষিত শীতকাল। যদিও কলকাতাবাসীর গায়ে এখনও গরম জামা দেখা যাচ্ছে না। তবে, ভোরের দিকে ঘুমের ঘোরেই পাশে রাখা চাদরটা টেনে গায়ে জড়াতে বেশ লাগে।
এসে গেল ঘুরতে যাওয়ার সময়। দেশের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার জায়গার অভাব নেই। তবে কিছু এমন জায়গা রয়েছে যেখানে কেবলমাত্র শীতেই ঘুরতে যাওয়া যায়। যেমন, রাজস্থান। বালিরাজ্যের জয়পুর, যোধপুর, উদয়পুর, বিকানের, জয়সলমিরের রাজকীয় দুর্গ, রণথম্ভোর ও সরিস্কার অভয়ারণ্য, মাউন্ট আবুর পাহাড়— সেখানে রয়েছে প্রায় সব কিছুই।
এসব চির-পরিচিত জায়গাগুলি বাদ দিয়ে, এবারে প্ল্যান করে ঘুরে আসতে পারেন রাজস্থানের একটি ছোট্ট শহরে। নাম তার শেখাওয়াতি।
দেখুন ফোটোগ্যালারি
ব্যবসা মানেই মাড়োয়ারি। মূলত, তাদেরই বাস ছিল এই শেখাওয়াতিতে। ঝুনঝুনু, শিকার, ছুরু, নাগৌর-এর মতো কয়েকটি ছোট্ট জেলা নিয়ে শেখাওয়াতির অবস্থান দক্ষিণ রাজস্থানে। শেখাওয়াতির মাড়োয়ারি সম্প্রদায় নিজেদের বসতবাড়িগুলি তৈরি করেছিল মূলত তাদের বৈভব দেখাতে। একে অপরকে টেক্কা দিতে, বাড়ির সঙ্গে মন্দির, সিঁড়ি দেওয়া বিশালাকার কুয়ো, মিনার তৈরি করত সেই সকল ব্যবসায়ীরা। এই পুরো স্থাপত্যকে এক কথায় ‘হাভেলি’ বলে অভিহিত করা হত।
বর্তমানে সেই সব হাভেলি রয়ে গিয়েছে তাদের বর্ণময় ইতিহাস নিয়ে। বেশ কিছু হাভেলি এখন পর্যটকদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। আবার অনেকই এমন রয়েছে, যার সামান্য দেখভালের লোকও নেই।
ধুন্দর জেলার শেখাওয়াত রাজপুত, রাও শেখা জি ছিলেন শেখাওয়াতির প্রথম শাসক। তাঁর রাজধানী ছিল অমরসর। ১৮ ও ১৯ শতকেই মূলত বেড়ে ওঠে শেখাওয়াতি। এবং, দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত শেখাওয়াতরাই ছিল সেখানকার শাসক।