º Name
º Email Id
º Gender
º Mobile Number
º Location
নিজস্ব প্রতিবেদন, এবেলা.ইন | ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ২০:২৫:১৮ | শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১৩:৪৩:০২
তোমার ফোনের ক্যামেরা কত পিক্সেল? এমন প্রশ্ন করেছিল নম্রতা। ফোনটা নাড়াচাড়া করতে করতেই শুনেছিল, এইট মেগাপিক্সেল। চক চক করে উঠেছিল নম্রতার মুখ। ফিসফিস করে বলেছিল, আমায় একটা কিনে দেবে? তখনও নম্রতা জানত না, ওই ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা একটু পরেই ওর নগ্নতাকে ফ্রেম বাই ফ্রেম ধরে রাখবে। আধুনিক মোবাইল অত দূর থেকে ওর নিঃশ্বাস ছাড়ার শব্দটুকুকেও রেকর্ড করে নেবে। চার জিবি চিপ-এ দীর্ঘজীবী হয়ে থেকে যাবে ওর শরীর, ওর অনুভূতি, ওর স...ব।
নম্রতার ভিডিও অনেকেই দেখেছেন। চিনবেন না। ওর নামটাই যে জানা হয়নি ওই ভিডিও দেখার সময়ে। ‘বাংলা এমএমএস’ লিখে সার্চ করলেই মিলে যায় ওর ভিডিও। নম্রতা দেখেছিল এক বার। তার পরেই এক মুঠো ঘুমের ওষুধ...।
প্রায় একই কাহিনি শেফালির। বয়ফ্রেন্ডের ডাকে সাড়া দিয়ে শেফালি গিয়েছিল ডায়মন্ডহারবারে। বিশ্বাস করেছিল অনেক দিনের চেনা পাড়ার ছেলেটাকে। একটি রাত এক সঙ্গে কাটানোর প্রস্তাব শুনে পুলক জেগেছিল ওর মনে। নিমরাজি নয়, রাজি হয়ে গিয়েছিল অনাঘ্রাত অনুভূতির আকর্ষণে। কিন্তু নম্রতার মতো শেফালির জীবনও ছারখার করে দেয় এক টুকরো ভিডিও। পাড়ার দাদাটি বেশ সরেস। সে প্রথমবার ভালবেসে শেফালির শরীর পেয়েছিল। এর পর বার বার শেফালিকে ভোগ করেছে। বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে ভোগ করেছে। কারণ, তার হাতে তখন শেফালিকে সমাজ, পরিবারের চোখে শেষ করে দেওয়ার অস্ত্র। না, শেষ করতে পারেনি শেফালিকে। সে এখনও বেঁচে রয়েছে। কলকাতারই এক নিষিদ্ধ পাড়ায়।
নম্রতা বা শেফালির মতো নয় চুমকির কাহিনি। সে নিজেই মজা করে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ছবি তুলেছিল। পরে নিজেও দেখেছিল সেই ভিডিও। কিন্তু ডিলিট করতে পারেনি। ওর পরিণতিটা কেউ জানে না। কোথায় যেন হারিয়ে যায় চুমকি নামের সেই মিষ্টি মেয়েটা।
এই তিনটে কাহিনির কোনওটাই গল্প নয়। তবে নামগুলো সত্যিই সত্যি নয়। বাস্তবের নম্রতা, শেফালি কিংবা চুমকির সঙ্গে পরিচয়ের দরকারটাই বা কী? ওরা তিন জনেই যে অমর হয়ে রয়েছে নানা নিষিদ্ধ সাইটে। সেখানে লাইকের পর লাইক পায় ওরা রোজ। কত কত শেয়ার হয়। কমেন্ট জমা পড়ে। কখনও কখনও ওরাও সে সব দেখে কি না কে জানে? ৪০-এর দোরগোড়ায় পৌঁছনো শেফালি কি এখনও শিহরিত হন নিজের প্রথম অভিজ্ঞতার ভিডিও দেখে?
তিনটে কাহিনিই শোনা শেফালির কাছে। কলকাতার নিষিদ্ধ পল্লির বাসিন্দা শেফালি এখনও ভয় পান মোবাইল ফোনকে। না, নিজের জন্য নয়। যে বয়সে অনেক স্বপ্ন, অনেক ভালবাসা নিয়ে বয়ফ্রেন্ডের কাছে তিনি প্রতারিত হয়েছিলেন, সেই বয়সের মেয়েদের নিয়ে তাঁর ভয়।