পেটের মেদ নিয়ে অনেকেই অস্বস্তির মধ্যে দিন কাটান। এই মেদ ঝরাতে কালঘাম ছুটে যায় অনেকেরই। এবার মার্কিন দেশের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফেইনবার্গ স্কুল অফ মেডিসিনের একটি গবেষণা বলছে, কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস শরীরে ঢোকালে মিলবে আশ্চর্য ফল।
মেদ ঝরাতে কার্বন ডাইঅক্সাইড হতে পারে এক অব্যর্থ ওষুধ। এই গ্যাসের ইঞ্জেকশন দিলেই পেটের মেদ কমতে পারে। এমনই উঠে এসেছে গবেষণা থেকে। গবেষকরা এর নাম দিয়েছেন কার্বোক্সিথেরাপি।
‘‘এই থেরাপির মাধ্যমে পেটের মেদ কমতে পারে সহজেই। এর দীর্ঘমেয়াদি ফল পেতে অবশ্য এই থেরাপির আরও উন্নতি করতে হবে,’’ বলছেন গবেষক মুরাদ আলম।
কার্বন ডাইঅক্সাইড ইঞ্জেশকন কয়েকজনের মধ্যে প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে পেটের মেদের সেলগুলির ক্ষতি করা যাচ্ছে। ১৬ জনের উপরে এই ইঞ্জেকশন পরীক্ষা করা হয়েছে। পাঁচ সপ্তাহ ধরে প্রতি সপ্তাহে একবার করে এই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় তাঁদের।
পাঁচ সপ্তাহ পরে দেখা যায় তাঁদের পেটের মেদ অনেকটাই ঝরে গেছে। এই পদ্ধতি অনেকটাই নিরাপদ। খরচও কম। এমনই দাবি ‘জার্নাল অফ আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি’-তে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটির।
তবে দেখা যাচ্ছে, ইঞ্জেকশনটি বন্ধ করে দিলে আবার ফ্যাট জমা হচ্ছে শরীরে। কারণ ফ্যাট সেলগুলির ক্ষতি করলেও, তা একেবারে মরে যাচ্ছে না। ফলে এটা যে সাময়িকভাবে মেদ ঝরাচ্ছে তা মেনে নিয়েছেন গবেষকরা। তাই তাঁরা বলছেন, এই কার্বোক্সিথেরাপির আরও উন্নতি প্রয়োজন, যাতে দীর্ঘমেয়াদি উপকার পান মেদ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত মানুষজন।