কেরলে এখনও পর্যন্ত ১১জনের মৃত্যু হয়েছে নিপা ভাইরাসের কবলে পড়ে। এবার এই রাজ্যেও সতর্কতা জারি করছেন ডাক্তাররা।
কেরল থেকে দু’হাজার কিমি দূরে কলকাতায় বসেও নিশ্চিন্ত থাকা যাবে না। কেন না অতীতে একাধিক বার বাংলায় হানা দিয়েছে নিপা। ২০০১ সালে শিলিগুড়িতে নিপার কবলে পড়ে মৃত্যু হয় ৪৫ জনের। ২০০৭ সালেও নদিয়ায় ৫ জন মারা যান। কাজেই নিপা ফিরে আসবে না, এমন কথা হলফ করে বলা যায় না।
নিপা ভাইরাস বহন করে মূলত এক ধরনের ফলখেকো বাদুর। কেরলের কোহিকর জেলায় প্রথম এই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া যায় ১৯ মে। একই বাড়িতে তিনজন আক্রান্তের খোঁজ মেলে। রোগীর বাড়ির কুয়োয় অসংখ্য মৃত বাদুর পাওয়া যায়।
ক্রমে পাশের জেলা মল্লপুরমে ছড়াতে থাকে রোগ। এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক না পাওয়া যাওয়ায়, আতঙ্ক ছড়াতে থাকে।
নিপায় আক্রান্ত প্রথম রোগীর চিকিৎসা করতে পেরামবারা হাসপাতালে যে মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়, তার অন্যতম সদস্য একজন নার্সও মারা যান। মৃতের নাম লিনি পুথুসেরি(৩১)। লিনির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা কেরলে।
ছবি: কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব টুইটার
এ পর্যন্ত নিপায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন মালয়েশিয়ায়। দুই বাংলায় নিপা ছড়াতে থাকে ১৯৯৮ সাল থেকে। ভারত, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ায় সে যাত্রায় প্রায় ২৬০ জন মারা গিয়েছিলেন এক ধাক্কায়।