সারাদিনের কাজ বলতে অবশ্যই বাঁদরামি এবং তার সঙ্গে অপিরমিত খ্যাঁটন। তার তাতেই ইনি নজর কেড়ছেন সোশ্যাল মিডিয়ার। ব্যাংককের এক ভাসমান বাজারের হানা দিয়ে ট্যুরিস্টদের ফেলে দেওয়া খাবারে ইনি বাগিয়ে ফেলেছেন এক সুবিশাল ভুঁড়ি। আর সেই কারণেই এঁর নামকরণ ‘আংকেল ফ্যাটি’।
আংকেল ফ্যাটি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে তার চেহারার কারণে বেজায় জনপ্রিয়। বানর সমাজেও সে সিনিয়র সিটিজেন। সামাজিক দায়িত্ব যে সে একেবারে পালন করে না, তা নয়। শিশু ও কিশের বাঁদরদের দেখভাল করা বা অন্যভাবে দেখলে তাদের বাঁদরামিতে ‘শিক্ষিত’ করে তোলার পবিত্র কাজটি সে মহা উৎসাহেই করে থাকে। কচি বাঁদরেরাও তার ভুঁড়ির নীচে ঢুকে লুকোচুরি খেলে।
কিন্তু সম্প্রতি আংকেল ফ্যাটির সুখের দিন একেবারেই খতম করে দিয়েছে তাইল্যান্ডের বন্যপ্রাণ দফতর। নাখোন নায়োক প্রদেশের এক ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ সেন্টারে আপাতত সে বন্দি। তার ১৫ কিলোগ্রামের ওজনকে কমাতে তৎপর হয়েছেন আধিকারিকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাভাবিকের চাইতে তার ওজন অন্ততপক্ষে ৮-১০ কিলোগ্রাম বেশি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাকে একটি ‘ফ্যাট ক্যাম্প’-এ পাঠানো হবে। সেখানে ভয়ানক সব ডায়েটের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে তাকে। এবং তার সঙ্গে বাধ্যতামূলক দৌড়-ঝাঁপ তো থাকছেই।
কিন্তু একথা ব্যাংককের সংবাদমাধ্যেম জানায়নি যে, আংকেল ফ্যাটির সিক্স প্যাক তৈরি করার তালে আছেন কি না তাইল্যান্ডের বন্যাপ্রাণ আধিকারিকেরা।