সামার ক্যাম্পে দমকলকর্মীদের কাজের প্রশংসা করেছিল মেয়েটি। আর মোরাগা-ওরিন্ডা ফায়ার ডিস্ট্রিক্টের কর্মীরা যখন জানতে পারেন ফুলের মতো মেয়েটা মারণ রোগে আক্রান্ত, তখনই ভালবাসা মায়া হয়ে ওঠে। একটা বিরল ধরনের কিডনির ক্যান্সারে আক্রান্ত। মাসের পর মাস তাকে কেমোথেরাপি নিতে হয়।
এর পরেই মোরাগা-ওরিন্ডা ফায়ার ডিস্ট্রিক্টের কর্মীরা ঠিক করে ফেলেন মেয়েটির পাশে দাঁড়াতে হবে। শুরু হয় যোগাযোগ। তার বাড়িতে যাতায়াত শুরু হয়। উপহার দেওয়া চলে। দমকলকর্মীরা পরিকল্পনা করেন, টাকা তুলে ফিনলে ব্রাউনকে ডিসনি ওয়ার্ল্ডে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হবে। এরই মধ্যে চিকিৎসকরা জানান এবার শেষ কেমো দেওয়া হবে ২১ ডিসেম্বর। শুনেই মোরাগা-ওরিন্ডা ফায়ার ডিস্ট্রিক্টের কর্মীরা ঠিক করেন ওই দিনটায় স্পেশাল কিছু করতে হবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ।
ওই দিনটায় ওকল্যান্ডের শিশু হাসপাতালে ফিনলেকে নিয়ে যাওয়া হল উৎসবের মেজাজে। সকালেই ফিনলের বা়ড়ির সামনে হাজির দমকলের সাজানো গাড়ি। ফিনলেকে কোলে করে সামনের আসনে বসিয়ে দিলেন এক ফায়ার অফিসার। ওর বায়নায় ফিনলের ভাইকেও তুলে নেওয়া হয় গাড়িতে। হাসপাতালে সারাটা দিন ছিলেন দমকলকর্মীরা। শেষ কেমোথেরাপির পর বাড়ি ফেরাও সেই একইভাবে।
দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, দারুণ উপভোগ করেছে তাঁদের ছোট্ট বন্ধু ফিনলে। আর ফিনলের অভিভাবকরাও শুধু খুশি নয়, আপ্লুত।