যৌনাঙ্গ যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয় তা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মাত্রেই জানেন। কিন্তু ঠিক কীভাবে ধোয়া উচিত যোনি, সে সম্পর্কে অনেকেরই ঠিক ধারণা নেই। সকালে কাজে বেরনোর তাড়াহুড়োয় হয়ত অনেকের পক্ষে ঠিক নিয়ম মেনে যোনি ধোয়া সম্ভব নয় কিন্তু বাড়ি ফিরে এসে ফ্রেশ হওয়ার সময় যদি এই নিয়ম অনুসরণ করেন তবে যৌন সংসর্গ ছাড়া যে ইনফেকশন বা স্কিনের সমস্যা হয় যৌনাঙ্গে, তা হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
একইভাবে সঙ্গমের পরে যদি এই প্রক্রিয়ায় যোনি ধুয়ে ফেলেন তবে যে সমস্ত ছোটখাটো ইনফেকশন যৌনতার ফলে ছড়ায়, সেগুলি থেকে দূরে থাকতে পারবেন। প্রথমেই মাথায় রাখবেন যোনিছিদ্রের ভিতরের অংশ কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মে ‘সেল্ফ ক্লিনিং’ পদ্ধতিতে পরিচ্ছন্ন হয়। তাই কখনও সাবান জাতীয় কিছু আঙুল দিয়ে যোনিছিদ্রের ভিতরে দেবেন না এবং যোনি ধোয়ার সময়ে সব সময় হার্বাল সোপ বা বডিওয়াশ ব্যবহার করবেন।
এই ৭টি ধাপ অনুসরণ করে যোনি ধোবেন—
১) অল্প একটু সোপ বা বডিওয়াশ নিয়ে টাবের জলে অল্প একটু ফেনা করে নিন। তার পর তাতে নরম স্পঞ্জ বা এক টুকরো সুতির কাপড় ভিজিয়ে নিন। বেশ ঘন ঘন যেন ফেনা থাকে।
২) যোনিপট্ট বা ল্যাবিয়ার উপরের ত্বক এবং কুঁচকিতে আলতো করে স্পঞ্জ বা কাপড়টি দিয়ে বোলান।
৩) এবার যোনিপট্টটি ফাঁক করে ভালভার ভিতরের ভাঁজগুলিতেও খুব সাবধানে স্পঞ্জ বুলিয়ে দিন।
৪) স্পঞ্জটি একবার ধুয়ে নিন। তার পরে আবার সাবানের ফেনায় স্পঞ্জটি ভিজিয়ে নিয়ে যোনিছিদ্রের মুখের কাছে স্পঞ্জ বুলিয়ে নিন।
৫) পায়ুছিদ্র এবং যোনিছিদ্রের মাঝের অংশকে বলে পেরিনিয়াম। এটিও পরিষ্কার করবেন।
৬) যোনি ধোওয়ার সময়ে পায়ুছিদ্র এবং তার আশপাশের অংশটিও পরিষ্কার করতে হবে একই ভাবে। কিন্তু এই অংশটি সবশেষে স্পর্শ করবেন। নাহলে পায়ুর ব্যাকটেরিয়া যৌনাঙ্গে ছড়িয়ে যেতে পারে।
৭) সব শেষে জল দিয়ে ভালভাবে যৌনাঙ্গ ও পায়ু ধুয়ে ফেলুন এবং নরম তোয়ালে দিয়ে প্যাডিং করে শুকনো করে নিন। কখনও জোরে জোরে ঘষে ঘষে মুছবেন না।