চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগ চিড়িয়াখানায় সম্প্রতি শাবকের জন্ম দিয়েছে শিন্ডা নামে একটি গোরিলা। প্রাথমিকভাবে মনে হতেই পারে, এ আর এমন কী খবর! আসুন, পরিচয় করানো যাক শিন্ডার সঙ্গে। শোনানো যাক তার মাতৃত্বের গল্প।
প্রাগের চিড়িয়াখানায় এখন শিন্ডাকে দেখার ভিড়। শিন্ডা এক মুহূর্তের জন্যও তার সন্তানকে কোলছাড়া করতে চায় না। আদরে, যত্নে যে ভরে দিচ্ছে একরত্তি শাবককে। কিন্তু কোলছাড়়া করতেই হচ্ছে সন্তানকে। কেননা, এর আগমনে প্রাগ চিড়িয়াখানার গোরিলা পরিবারে যেন আনন্দের ধুম লেগে গিয়েছে।
শিন্ডার চেহারা এমনিতে আর পাঁচটা গোরিলার থেকে বড়সড়। সোজা কথায়, শিন্ডা মোটা। এই মোটা চেহারার জন্যই তার জীবনে নেমে এসেছে একের পর এক যন্ত্রণার অধ্যায়। এর আগে বহুবার শিন্ডা গর্ভধারণ করেছিল। কিন্তু কোনওবারই সন্তানের মুখ সে দেখেনি। প্রতিবারই তার মিসক্যারেজ হয়েছে। প্রাণের সঞ্চার হয়নি তাঁর শরীরের ভিতরে।
চিড়িয়াখানার চিকিৎসকেরা একসময়ে শিন্ডার খাওয়াদাওয়া অর্ধেক করে দিয়েছিলেন যাতে তার ওজন কমানো যায়। পরে ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক খাবারে ফিরিয়ে আনা হয় শিন্ডাকে।
ঘটনা হল, গত কয়েক মাস ধরেই শিন্ডা ফের মোটা হচ্ছিল। চিড়িয়াখানার কর্মীরা ভেবেছিলেন, ফের খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানতে হবে। অবাক করার মতো বিষয় এখানেই। শাবকটির জন্ম হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি, শিন্ডা গর্ভবতী! স্রেফ শরীরে মেদ জমার কথা ভেবেছিলেন।
অবশেষে একদিন সকালে শিন্ডার কোলে ছটফট করতে দেখা যায় একটি ক্ষুদ্র প্রাণীকে। রোগাটে, লিকলিকে চেহারা। কিন্তু স্বভাবে বেশ চটপটে। আর মায়ের কোলঘেঁষা বললেও কম বলা হয়।
এমন সন্তানকে কি কোনও মা কোলছাড়া করতে পারে? শিন্ডার জিয়নকাঠি যে ওই খুদেটার হৃৎপিণ্ডেই বাঁধা পড়েছে। দেখুন একটি ছোট্ট ভিডিও।