জিএসটি লাগু হয়ে গেলেও সম্ভবত এখনই বাড়ছে না ওষুধের দাম। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তত অগস্ট মাস পর্যন্ত পুরনো মূল্যেই ওষুধ কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।
ওষুধের বাজারের সঙ্গে যুক্ত একাধিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বাজারে এখন যে ওষুধের স্টক রয়েছে, তা ফুরোতে ফুরোতে আরও অন্তত দু’মাস লাগবে। তার পরেই সম্ভবত সেপ্টেম্বর মাস থেকে জিএসটি চাপিয়ে নতুন মূল্যের ওষুধ বাজারে আসবে।
শুধু তাই নয়, ক্যান্সার, কিডনির অসুখের মতো জটিল রোগের ওষুধ, ইনসুলিনের মতো যে ওষুধগুলির দাম জিএসটি লাগু হওয়ার পরে কমার সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলিই সম্ভবত বাজারে প্রথমে আসবে।
ন্যাশনাল লিস্ট অফ এসেনসিয়াল মেডিসিনস বা এনএলইএম-এর তালিকাভুক্ত জরুরি ওষুধগুলির উপরে জিএসটি-তে ১২ শতাংশ কর চাপানো হয়েছে। ইনসুলিন এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার প্রোডাক্টগুলিকে ৫ শতাংশ জিএসটি-র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটি বা এনপিপিএ-র হিসেব অনুযায়ী, এনএলইএম-এর তালিকাভুক্ত ওষুধগুলির দাম জিএসটি চালু হওয়ার পরে ২.২৯ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। জিএসটি লাগু হওয়ার পরে এনএলইএম-এর তালিকাভুক্ত ওষুধগুলির দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়ে নিজেদের ওয়েবসাইটে দামের তালিকা প্রকাশ করেছে এনপিপিএ। তাদের দাবি, জিএসটি লাগু হওয়ার পরেও জনপ্রিয় ওষুধগুলির ৭৮ শতাংশের দামই অপরিবর্তিত থাকছে। যা রোগীদের কাছে নিঃসন্দেহে স্বস্তির।