কম ফ্যাটযুক্ত দুধ নিয়মিত খেলে শরীরের বিশেষ উপকার হয়। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম কিংবা ভিটামিন— আরও অনেক কিছুই যথেষ্ট পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করে এই দুধ বা দুধ থেকে তৈরি খাবার খেলে। এমন কথাই আমরা জানি। কিন্তু সম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে একদম অন্য একটা দিক। জানা যাচ্ছে, এই দুধ বেশি পরিমাণে খেলে পার্কিনসন’স রোগের সম্ভাবনা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
পার্কিনসন’স রোগ স্নায়ুর এক ভয়াবহ অসুখ। যত দিন যাচ্ছে, তত এই অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় বিজ্ঞানীরা নানা রকম পরীক্ষা চালাচ্ছেন এই অসুখকে আরও ভাল করে জানতে।
আরও পড়ুন:—
মদ ও মাতাল নিষিদ্ধ, পালোয়ানের ধাবায় অন্য ‘নেশা’! কেন ভিড় জমান পেটুকরা
দুধের নামে আসলে কী খাচ্ছেন আপনি! তদন্তে প্রকাশ মারাত্মক সত্য
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ নিউরোলজির মেডিক্যাল জার্নালের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে এক গবেষণাপত্র। সেখানে বলা হয়েছে, কম ফ্যাটযুক্ত দুধ খেলে পার্কিনসন’স রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। গত ২৫ বছরে ৮০,৭৩৬ জন মহিলা ও ৪৮,৬১০ জন পুরুষের খাদ্যাভ্যাসের তালিকা খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। এঁদের মধ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ পরবর্তী সময়ে পার্কিনসন’স রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই পরিসংখ্যান থেকে দেখা গিয়েছে, যাঁরা দৈনিক হিসেবে একবার বা তারও কম ওই দুধ খেয়েছেন তাঁদের তুলনায় যাঁরা অন্তত তিনবার কম ফ্যাটযুক্ত দুধ খান, তাঁদের এই ভয়াবহ অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৩৪ শতাংশ বেড়ে যায়।
তবে কম ফ্যাটযুক্ত দুধ থেকে পার্কিনসন’স রোগ হওয়ার মোট সংখ্যাটা অবশ্য খুব বেশি নয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৫৮৩০ জন মানুষ যাঁরা দিনে তিন বা তার বেশিবার কম ফ্যাটযুক্ত দুধ বা দুধজাত খাবার খেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৬০ জন পরবর্তী সময়ে পার্কিনসন’স-এ আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ ১ শতাংশ। আর দৈনিক এক বা তার থেকেও কম যাঁরা কম ফ্যাটযুক্ত দুধ বা দুধজাত খাবার খেয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে পার্কিনসন’স-এ আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ০.৬ শতাংশ।
এখনও এই বিষয়ে আরও গবেষণা করতে চাইছেন গবেষকরা। তবেই এই বিষয়ে পাকাপাকি ভাবে কিছু বলা যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।