নাসা-র বাণিজ্যিক সহকারী অরবিটাল এটিকে ৩ ডিসেম্বর ‘সিগন্যাস’ নামের এক নভোযানকে উৎক্ষেপণ করতে চলেছে। দুই সংস্থার যৌথ উদ্যোগ ‘অ্যাটলাস ৫’-এর সঙ্গেই উৎক্ষেপণ করা হবে সিগন্যাস-কে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ এবং প্রেরণই সিগন্যাস-এর উদ্দেশ্য। কেবল মহাকাশবিদ্যা নয়, এতে উপকৃত হতে পারে বিজ্ঞানের বিবিধ শাখা— এমনটাই ভাবছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা।
সিগন্যাস প্রাথমিকভাবে গ্যাস, তরল এবং মহাকর্ষের অভ্যন্তরস্থ জ্বলন্ত তন্তু বিষয়ে তথ্যসংগ্রহ করবে। এর কাজের জন্য সিগন্যাস-এ থাকছে একটি স্বয়ংক্রিয় বায়োপ্রডাক্ট-পরীক্ষাগার, যা মূলত দূর-নিয়ন্ত্রক দ্বারা চালিত। সংগৃহিত নমুনাগুলিকে পৃথিবীর মাটি থেকেও দেখা যাবে ভিডিওতে। এই তথ্যসমূহ মূলত কাজে লাগবে বিভিন্ন রাসায়নিক এবং জীববিদ্যাগত গবেষণায়। কাজে লাগবে পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক গঠন-সংক্রান্ত নিরীক্ষাতেও।
‘অ্যাটলাস ৫’ এবং সিগন্যাস-এর এই যৌথ যাত্রা সিএসআর-৪ নামে চিহ্নিত। এই যাত্রার আর এক উদ্দেশ্য ভবিষ্যতের স্পেস-স্যুটের উপযোগী তন্তুর সন্ধান। পৃথিবী থেকে স্যাম্পল মহাকাশে নিয়ে গিয়ে মহাকর্ষে তার সহনশীলতার পরীক্ষাও করবে সিগন্যাস।