সরস্বতী পুজোর পরের দিন, শীতল ষষ্ঠী। অনেকেই বলেন গোটা ষষ্ঠী। এই দিন গোটা সবজি সেদ্ধ খান বাঙালিরা। সরস্বতী পুজোর পরের দিন অরন্ধন, এই তিথিতে আগের দিনের গোটা সেদ্ধ ঠাণ্ডা অবস্থায় খাওয়া হয়।
মূলত ঘটিদের মধ্যেই এই প্রথা চালু আছে। অবশ্য কিছু বাঙাল বাড়িতেও এই প্রথা দেখা যায়। দীর্ঘকালের এই সংস্কার কিন্তু শুধুই বিশ্বাস নয়। এর সংস্কারের পিছনে আশ্চর্য বৈজ্ঞানিক কারণও আছে।
বাঙালি মাত্রই জানে, বসন্ত কাল রোগ জীবাণুর সংক্রমণে সময়। চিকেন পক্স ইন্ফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ এই সময় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ঔপনিবেশিক-প্রাক ঔপনিবেশিকর যুগে এই রোগ মহামারির আকার ধারণ করত। এইখানেই লুকিয়ে আছে গোটা সেদ্ধর কার্যকারিতা।
• গোটা সেদ্ধ শরীর ঠান্ডা রাখে। শিষ পালং, গোটা মুগ, গোটা বেগুন, গোটা শিম, গোটা কড়াইশুটির মতো মরসুমি সবজিগুলি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।
• গোটা মরশুম অত্যাধিক ভাজাপোড়া খাওয়ার পরে অরন্ধন ও সেদ্ধ খাওয়ার ফলে পাকস্থলি বিশ্রাম পায়।
• ঠাণ্ডা সেদ্ধ শরীর ঠাণ্ডা থাকে।
সুতরাং ২০১৯-এ মা ঠাকুমার সংস্কার অনুকরণে নাক না সিঁটকোলে জেন ওয়াই বাঙালিরই লাভ।