প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথি পালিত হয় শবরী জয়ন্তী হিসেবে। সেই হিসেবে আজ, সোমবার শবরী জয়ন্তী। আজ সকাল ১০.৫৩ পর্যন্ত ষষ্ঠী। তার পরেই পড়ছে সপ্তমী। চলবে মঙ্গলবার ১০.১৬ পর্যন্ত। জানুন এই তিথির পিছনের কাহিনি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, শবরী জয়ন্তীর দিনে শবরীকে দেবী হিসেবে পুজো করা হয়। শবরীর কাহিনি রামাযণের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।
শবরী ছিলেন ব্যাধ কন্যা। তবুও তাঁর ইচ্ছে ছিল মুনি-ঋষিদের সাহচর্যে আশ্রমিক জীবন যাপনের। তিনি যে অরণ্যে থাকতেন, সেখানেই ছিল মতঙ্গ মুনির আশ্রম। কালক্রমে মতঙ্গ মুনিকে তুষ্ট করেন শবরী। তার পর থেকে তিনি সেই আশ্রমেই থাকতেন। পরে মতঙ্গ মুনির মৃত্যু হলে তিনি ওই আশ্রমেই জীবনযাপন করতে থাকেন।
মুনি বলে গিয়েছিলেন, রামচন্দ্র ওই অরণ্যে এলে তবেই শবরীর মুক্তি। ক্রমে দিন যায়। শবরী যুবতী থেকে অথর্ব বৃদ্ধায় পরিণত হন। কেটে গেল হাজার বছর। এর পরই সেখানে প্রবেশ করেন রাম ও লক্ষ্ণণ। রাম তখন সীতাকে খুঁজে চলেছেন বিভিন্ন স্থানে। এই সময়ই শবরী ও রাম মুখোমুখি হন। রামকে জাম খেতে দেন শবরী। মিষ্টি কি না, তা নিজেই এঁটো করে দেখে সেই ফল তিনি তুলে দিচ্ছিলেন রামের হাতে। রাম সেই ফলই পরম তৃপ্তিতে খান। রামের আগমনে শবরীর মুক্তি হয়। তিনি দেহ ত্যাগ করে চলে যান বৈকুণ্ঠে।
বলা হয়, শবরীমালা দেবীর পুজো করলে মনে ভক্তি ভাব জেগে ওঠে। প্রতি বছর এই তিথিতে শবরী জয়ন্তী পালিত হয়। পূজিতা হন ব্যাধ কন্যা শবরী।