নর্থ সি-র সমুদ্রতট। বেলজিয়ামের ডে হান সমুদ্রতটে উপস্থিত এক বিশালাকার প্রাণী। দুর্গন্ধে তখন ভরে গিয়েছে এলাকা। এ রকম প্রাণীকে চট করে দেখা যায় না। তাই অবাক দর্শনার্থীর ভিড়ও জমে যায় গন্ধকে উপেক্ষা করে।
ডাক পড়ে পশু চিকিৎসকদের। ডাকতে হয় ক্রেনও। সেই ক্রেনে করে প্রাণীটিকে আনা হয় সমুদ্রের জল থেকে খানিকটা দূরে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি এক বিশেষ ধরনের তিমি। গত দু’দশকে এরকম তিমিকে বেলজিয়ামের সমুদ্রতীরে দেখা যায়নি।
এই ধরনের ‘ফিন হোয়েল’-এর ওজন হয় সাধারণত ৪৫ হাজার কেজি বা ৪৯ টনের মতো। এরা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাণী।
তবে এই তিমিটিকে নিয়ে রহস্যও দানা বাঁধছে। কারণ যখন এটি সমুদ্র তটের কাছাকাছি আসে তখনই বোঝা যায় তিমিটি মৃত। সমুদ্রে ঢেউয়ের সঙ্গে তিমিটি তীরে এসে পড়েছে। কিন্তু কী করে তিমিটি মারা গেল তা নিয়েই শুরু হয়েছে তদন্ত।
আপাতত তিমিটির গা থেকে মাংস কেটে ফেলা হচ্ছে। যাতে দুর্গন্ধ দূর হয়। কারণ মৃত তিমিটি পচে গিয়েই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
লেইগ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক থিয়েরি জউনিঅ্যাক্স সংবাদ সংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, তিমিটির স্বাস্থ্য যেরকম হওয়ার কথা ছিল সেরকম ছিল না। দুর্বল হয়ে পড়েছিল। আঘাতের কারণেই এমন ক্ষীণ হয়ে গিয়েছিল সেটির স্বাস্থ্য।
তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই বিশালাকার প্রাণীটি কোনও জাহাজের ধাক্কা খেয়েই আঘাত প্রাপ্ত হয়। সেই আঘাতের চাপ কাটিয়ে উঠতে পারেনি তিমিটি। সমুদ্রেই মৃত্যু হয় তার। এর পরে ঢেউয়ের তোড়ে এটি ডে হান সমুদ্রতটে এসে পড়ে।