ভয়াবহ জঙ্গি হানা নিউজিল্যান্ডে। ক্রাইস্টচার্চ শহরের দু’টি মসজিদে ঢুকে এক বা একাধিক জঙ্গি নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অন্তত ৪৯ জনকে হত্যা করেছে। আহতের সংখ্যা অন্তত কুড়ি। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা।
এ দিন সকালে ভয়াবহ এই জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দু’টি মসজিদে। আল নূর নামে শহরের প্রধান মসজিদে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে এক জঙ্গি। তখন সেখানে বহু মানুষই প্রার্থনা করছিলেন। হামলা চালানোর সময়ে এক জঙ্গি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ ভিডিও শেয়ার করে। সেখানে দেখা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মসজিদের মধ্যে লুটিয়ে পড়েছেন বহু মানুষ, রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। এছাড়াও লিনউড শহরতলির একটি মসজিদেও একই কায়দায় হামলা চালিয়ে বেশ কিছু মানুষকে হত্যা করা হয়।
এই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যে দু’টি মসজিদে হামলার হয়, ঘটনার সময়ে তার একটিতেই প্রার্থনা করতে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তবে তাঁরা মসজিদে ঢোকার আগেই হামলা ঘটে। ফলে, বরাতজোরে প্রাণে বাঁচেন ক্রিকেটাররা। এই ঘটনার জেরে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচ বাতিল করেই দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল।
এটাই নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে নৃশংসতম গণহত্যার ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী জাকিন্ডা আর্ডান এটিকে জঙ্গি হামলা বলেই দাবি করেছেন। ঘটনার পরেই জোরদার তল্লাশিতে নামে পুলিশ। ক্রাইস্টচার্চ শহরের একটি গাড়ির মধ্যে থেকে আইডি জাতীয় বিস্ফোরক উদ্ধার হয় বলে খবর। সন্দেহভাজন চার ব্যক্তিকেও আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন মহিলা রয়েছে। তারা কট্টরপন্থী বক্তব্য রাখছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে যে বন্দুকবাজ এই হামলা চালিয়েছে, তাকে গ্রেফতার করা গিয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। একই সঙ্গে এক না একাধিক বন্দুকবাজ এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে, সে বিষয়েও নিউজিল্যান্ড পুলিশ কিছু জানায়নি।
যে চারজনকে আটক করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলীয় নাগরিক বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই নিউজিল্যান্ডের নৃশংস এই জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছে।