পুলওয়ামা কাণ্ডের জবাব দিতে পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ছিন্নভিন্ন করেছে ভারতের বায়ুসেনা। ১০০০ কেজি বোমা ব্যবহার করে পাকিস্তানের খাইবারপাখতুনখোয়ার বালাকোটে জঙ্গি শিবির ধ্বংস করেছে ভারত।
জানা গিয়েছে, মাসুদ আজহারের শ্যালক ইউসুফ আজহার-সহ ৩৫০ জঙ্গি খতম হয়েছে। যদিও পাকিস্তান এই দাবি অস্বীকার করেছে। উল্টে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে প্রবেশ করায় ভারতকে পালটা জবাব দেবেন। কিন্তু এই ঘটনায় সব সময়ের ‘বন্ধু’ চিন যে এই ক্ষেত্রে সরাসরি ভাবে পাকিস্তানের পক্ষে থাকছে না। বুঝিয়ে দিল চিনের বিদেশ মন্ত্রকই।
ইমরানের পক্ষ না নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যেই শান্তি বজায় রাখার প্রয়োজন রয়েছে। দুই দেশ সংযত থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও ভাল থাকবে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তান দু’টি খুব গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তাই পুরো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে শান্তি রক্ষা করার জন্য ভারত-পাকিস্তানের শান্তিতে এই পরিস্থিতির সামনা করা উচিত। এমনকী, চিনের বিদেশ মন্ত্রক ওয়াং ই জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপেও জোর দেওয়া উচিত। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এমনই জানা গিয়েছে।
পুলওয়ামা কাণ্ডের পরেও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে খবর ছিল, সবুজ রংয়ের একটি এসইউভি গাড়িতে আবারও আত্মঘাতী হামলার ছক কষছে জইশ। সেই হামলা আটকাতেই এই প্রতিঘাতের পরিকল্পনা করা হয়।