ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হুঁশিয়ারির পরেই এ বার সুর নরম হলো পাকিস্তানের। পাক প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি জারি করে বললেন, ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এক বার চেষ্টা করুক ভারত।’’
রাজস্থানের টংক থেকে শনিবার পাকিস্তানের উদ্দেশে হংকার ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরাসরি ইমরান খানকে নিশানা করে প্রতিশ্রুতি পূরণ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন পাক প্রধানমন্ত্রীকে। একই সঙ্গে মোদী বলেছিলেন, গোটা বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ এবং তার মদতকারীদের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখন ভারত বদলে গিয়েছে, সব হিসেব বুঝে নেওয়া হবে।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদীর এই হুঁশিয়ারির চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিবৃতি জারি করা হয়। ইমরান খানের ওই বিবৃতিতে ভারতের উদ্দেশে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি সুযোগের’ জন্য আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুরনো সুরে পুলওয়ামা কাণ্ডে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার এবং পাক যোগের প্রমাণ চেয়েছে ইসলামাবাদ। ফের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, পুলওয়ামা কাণ্ডে ‘পদক্ষেপযোগ্য প্রমাণ’ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে অবশ্য পুলওয়ামা কাণ্ডের পরেই চড়া সুরে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন ইমরান খান। কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ভারতকে অযাচিত পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে পুলওয়ামা কাণ্ডে পাক যোগের প্রমাণও চেয়েছিলেন। জবাব ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, জঙ্গী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে শুধুমাত্র প্রমাণ চাওয়াটা পাকিস্তানের একটা বাহানা মাত্র। কারণ জইশ-ই-মহম্মদ এবং তাদের মাথা মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই রয়েছে। প্রসঙ্গত, রবিবারই প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রপতি পরভেজ মুশারফ নিজের দেশকে সতর্ক করে বলেছিলেন, পরমাণু যুদ্ধ হলে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ভারত। এবার পাক প্রধানমন্ত্রী নিজেই অনেক নরম সুরে ভারতের দিকে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিলেন।