উরি-সন্ত্রাসের প্রতিশোধে যুদ্ধ নয়, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে পাকিস্তানকে একঘরে করার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের চালের কাছে পাকিস্তান যে সত্যি সত্যি আন্তর্জাতিক মঞ্চে একঘরে হয়ে গিয়েছে তা এবার কার্যত স্বীকারই করে নিল ইসলামাবাদ। এর ফলে, আগামী দিনে পাকিস্তান সবদিক দিয়েই এক ধরনের অবরোধের সামনে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতের ‘সার্জিক্যাল’ হামলার জেরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের এই মুহূর্তে করনীয় কী? এই নিয়ে ইসলামাবাদে এখন রোজই বৈঠক চলছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ইসলামাবাদে দু’টি বৈঠক করেন নওয়াজ শরিফ। একটি বৈঠক ছিল আমলাদের সঙ্গে, অন্যটি বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে। সেখানেই আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় পাকিস্তানের একঘরে হয়ে যাওয়া নিয়ে বিদেশ সচিব আজিজ চৌধুরীর পেশ করা রিপোর্টের প্রসঙ্গ আনা হয়। এরপরই, ওই দুই বৈঠকেই জঙ্গি এবং জঙ্গি শিবিরগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাক সরকার সওয়াল করে। পাক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডন’ এমনই দাবি করেছে। বৈঠকে নওয়াজ শরিফ নাকি সাফ জানিয়ে দেন, এভাবে চললে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় পাকিস্তান আরও কোণঠাসা হবে। এর থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায়, জঙ্গি এবং জঙ্গি শিবিরগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
আরও পড়ুন...
পাকিস্তান এখন বলছে সত্যিই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ হয়েছে!
ভূস্বর্গে আবারও গোলাগুলি, এবার জঙ্গি নিশানায় হান্দওয়ারা
দ্য ডন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আইএসআই-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রিজওয়ান আখতার এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নাসির জানজুয়া, মোট ৪টি প্রদেশে গিয়ে সেখানকার প্রাদেশিক প্রশাসন এবং আইএসআই-এর কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং জঙ্গি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেবেন। আইনে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যে ধরনের কথা বলা হয়েছে, সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে বলেও নওয়াজ নাকি পরিষ্কার জানিয়ে দেন।
পাকিস্তানের বিদেশ সচিব আজিজ চৌধুরী সোমবারই এক বৈঠকে পাক প্রাইম মিনিস্টার নওয়াজ শরিফকে একটি রিপোর্ট দেন। সেখানেই আন্তর্জাতিক স্তরে একঘরে হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এও বলা হয় অবিলম্বে ভারতে হওয়া পাঠানকোট হামলা এবং মুম্বই হামলা নিয়ে মামলার গতি না বাড়ালে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই মঙ্গলবারের বৈঠকে নওয়াজ পাঠানকোট হামলায় দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুম্বই হামলার অসমাপ্ত মামলাও নিষ্পত্তির আদেশ দেন।