১৯১২ সালে টাইটানিকের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সেই জাহাজ ‘আনসিঙ্কেবল’, অর্থাৎ কি না, তা কোনও দিনই ডুববে না। কিন্তু ইতিহাসের অন্যতম ট্র্যাজেডিই ঘটে যায় তাকে ঘিরে।
কিন্তু টাইটানিক-কে আজও ‘আনসিঙ্কেবল’ বলেই ডাকা হয়। কারণ, আবিশ্ব গণস্মৃতি তাকে ভাসিয়ে রেখেছে। শতবর্ষ পার করেও সেই প্রমোদ তরণী মানুষের স্মৃতিতে অম্লান। ১৯৯৭ সালে জেমস ক্যামেরনের ছবি ‘টাইটানিক’ তাতে আরও ইন্ধন প্রদান করে। অনেকেই ভাবতে শুরু করেন যদি আরও একবার ভাসিয়ে তোলা যায় এই কিংবদন্তির জাহাজটিকে।
সেই স্বপ্ন থেকেই অস্ট্রেলিয়ার খনি ব্যবসায়ী ক্লাইভ পামার উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন ‘টাইটানিক ২’ নির্মাণে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সেই জাহাজ সত্যিই জলে ভাসতে চলেছে।
আর বেশি দিন নয়, ২০২২ সালেই সমুদ্রের জলে ভাসবে ‘টাইটানিক ২’। ২০১২ সালেই পামার তাঁর পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, ৩৮৫ ইউরো-র এই প্রকল্প ২০১৬ সাল নাগাদ পরিণতি পাবে। কিন্তু ২০১৫-এ পামার তাঁর চিনের ব্যবসা নিয়ে কিছু ঝঞ্ঝাটে পড়ায় সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকে ‘টাইটানিক ২’-এর কাজ।
অবশেষে টাইটানিকের ১১০তম বার্ষিকীতে রূপ পেতে চলেছে ‘টাইটানিক ২’ প্রকল্প। জানা গিয়েছে এই জাহাজ প্রথমে দুবাই থেকে ইংল্যান্ডের সাদাম্পটনে পৌঁছবে। তার পরে পুরনো টাইটানিকের রুট ধরেই সে পাড়ি দেবে অতলান্তিক। ডুবে যাওয়া টাইটানিকের জন্য নির্ধারিত রাস্তা ধরেই তা পৌঁছবে নিউ ইয়র্কে।
‘টাইটানিক ২’-এ আনুমানিক ২৪০০ যাত্রীর ব্যবস্থা থাকবে। এর বাইরে ক্রিউ মেম্বার থাকবেন ৯০০ জন। তবে পুরনো টাইটানিক ছিল কয়লা-চালিত। ‘টাইটানিক ২’ তা হচ্ছে না। তা হবে ডিজেল-চালিত। তবে আদি টাইটানিকের মতো চারটি চিমনি অপরিবর্তিত থাকছে। থাকছে সাবের টাইটানিকের মতো ফার্স্ট, সেকেন্ড ও থার্ড ক্লাসের টিকিট।
অপেক্ষায় রয়েছেন টাইটানিক-পাগলরা। আপনিও যদি তা হয়ে থাকেন, তবে আশা করতে পারেন ২০২২-এ একটা টিকিট জুটে যেতে পারে আপনার ভাগ্যেও। তার পরে ডেকের শীর্ষে দাঁড়িয়ে দু’বাহু প্রসারিত করে, ‘এভরি নাইট ইন মাই ড্রিমস...’। না, নায়িকা জোগাড় করতে হবে আপনাকেই। সে দায়িত্ব পামার নিচ্ছেন না।