মকর সংক্রান্তিতে সূর্যদেবের পুজো করতে হয়। পবিত্র নদীতে স্নান করে সূর্যকে পুজো করা এই পরবের অন্যতম প্রধান আচার। এই দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলেই গণ্য করা হয়।
একটি সর্বভারতীয় হিন্দি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, বরং বৈজ্ঞানিক মতেও মকর সংক্রান্তির দিনটি মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দিক থেকে বিশেষভাবে জরুরি।
একনজরে জেনে নিন, মকর সংক্রান্তির দিন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কোন চারটি কাজ অবশ্যই করা উচিত—
• সূর্যকে জল নিবেদন- এটি মকর সংক্রান্তির সবথেকে প্রচলিত রীতি। পবিত্র নদীতে স্নান করে সূর্যকে জল নিবেদন করা উচিত। কারণ, এই পরবটিই সূর্যদেবের পুজোর সঙ্গে যুক্ত। ধনু রাশি থেকে সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করে। জ্যোতিষ মতে, সূর্যের রাশি পরিবর্তনের প্রভাব কমবেশি সবার উপরেই পড়ে। যাদের কুণ্ডলীতে সূর্যকে অশুভ বলে চিহ্নিত করা আছে, মকর সংক্রান্তিতে তাঁদের অবশ্যই সূর্যের উদ্দেশে জল নিবেদন করা উচিত।
• কিছুক্ষণ রোদে বসা- মকর সংক্রান্তিতেই ঠান্ডা কমতে শুরু করে। এই দিনটিতে সূর্যের রশ্মি আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং শরীরে শক্তি বা এনার্জি পাওয়া যায়।
•তিল-গুড় খাওয়া- শীতকালে মাঝেমধ্যেই তিল এবং গুড় খাওয়া শরীরের পক্ষে উপকারী। এতে শরীর গরম থাকে। সম্ভবত এই গুণের কথা মাথায় রেখেই মকর সংক্রান্তির দিনে তিল এবং গুড় খাওয়ার পরম্পরা চলে আসছে। যদিও, যাঁদের শরীর গরম হলে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা দেখা দেয়, তাঁরা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে তিল এবং গুড় খাবেন না।
•তিল দান করা- জ্যোতিষ মতে, মকর সংক্রান্তিতে সব রাশির জাতক-জাতিকাদেরই তিল দান করা উচিত। তিল খাওয়ার মতোই মকর সংক্রান্তিতে তিল দান করাও শুভ। এর ফলে কুণ্ডলীর দোষ কেটে যায়। বিশেষত, কুণ্ডলীতে কালসর্প, রাহু বা কেতুর দোষ থাকলে তা কেটে যায়।