সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবির সেই দৃশ্যটির কথা মনে করুন। শহর থেকে দূরে অরণ্যযাপনে গিয়ে স্বস্থি পাচ্ছেন না শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়। কেন, কীসের জন্য সেই আনচান, বোঝা গেল দিশি মদের ঠেকে পেটে দু’পাত্তর পড়ার পরে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সব কথা উগড়ে দিলেন শুভেন্দু। তাঁর যাবতীয় ক্ষোভ কিন্তু চাকরি নিয়ে। একবার লাথি মেরে বেরিয়ে যেতে পারলে...।
পেটে পেগ পড়ার দরকার নেই। বুকে হাত রেখে বলুন তো, এমনটা কি আপনিও ভাবেননি? নিজের জীবিকা নিয়ে সন্তুষ্ট, এমন ব্যক্তির সংখ্যা বিরল এই মরপৃথিবীতে। কিন্তু কেন? ঠিক কী কারণে এই বিতৃষ্ণা তা সকলেরই জানা। কিন্তু এর লক্ষণগুলো কী? আসুন মিলিয়ে দেখা যাক।
• দিনের কতটা সময় অফিস বা পেশার কথা ভাবছেন, খেয়াল রাখুন। যদি বার বার একই প্রসঙ্গে মগজ গোঁত্তা খেতে থাকে, তবে সাবধান! ‘অফিস-বিতৃষ্ণা’ আপনাকে গ্রাস করেছে।
• নিজের উপরে নজর রাখুন, অফিস যাওয়ার সময়ে ঠিক কতটা সময় নিচ্ছেন আপনি। যদি খুব গড়মসি করেন, তো বুঝবেন অনীহা দেখা দিয়েছে।
• দিনের শেষে ক্লান্তি কি অসহনীয় লাগে? অথচ ছুটি নিয়ে সারাদিন টইটই করে দেখেছেন দিনান্তে বেশ ফুরফুরেই থাকেন। আপনি নির্ঘাত ‘অফিস-বিতৃষ্ণা’র শিকার।
• মাঝে মাঝেই কি মনে হয়, জীবনে অনেক কিছু হওয়ার ছিল, স্রেফ চাকরি করে বখে গেলেন?
• প্রকৃতই কি কর্মস্থল অসহনীয়? কারণটি খুঁজে বের করুন। এক জায়গায় আটকে থাকা, কলিগদের সঙ্গে দূরত্ব, বসের সঙ্গে খিটিমিটি, নেচার অফ জব— ঠিক কোনটি আপনাকে জেরবার করে দিচ্ছে?
লক্ষণ মিললে সিদ্ধান্ত নিন কর্ম-পরিবর্তনের। খুব বেশি বিতৃষ্ণ হলে মনোবিদের কাছে যান। তেমন হলে মানিয়ে নিন। একটাই তো জীবন। চাকরিও একটা করতে হবেই। কাজেই হরি সাহার হাট থেকে কমদামে কিনে পেলা বে-ফিটিং স্যান্ডো গেঞ্জি যেমন বাধ্য হয়ে পরেই ফেলেন, তেমন কেতায় না হয় চাকরিটা...