স্বাস্থ্য ভাল করার পিছনে খাওয়া-দাওয়ার গুরুত্ব তো আছেই, সঙ্গে হালকা এক্সারসাইজও করতে হবে এবং ভালমতো বিশ্রাম নিতে হবে। দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ভাল ঘুম হওয়া খুবই জরুরি।
তা বাদে এই ৮টি খাবার রাখতে পারেন সপ্তাহের খাদ্যতালিকায়। তবে এই তালিকা তাঁদের জন্যেই যাঁদের থাইরয়েড, ডায়বেটিস, ইউরিক অ্যাসিড বা কোলেস্টরলের মতো কোনও রোগব্যাধি নেই, লিভার, কিডনি বা হার্টের কোনও অসুখ নেই।
এ ব্যাপারে নিশ্চিত না হলে ডায়েটিশিয়ান বা চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে তবেই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন। নীচের তালিকাটি একটি উদাহরণ মাত্র—
১) সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন যে কোনও রেড মিট খেতে পারেন। তবে বাজার থেকে কেনা টাটকা মাংস খাওয়াই ভাল। পেপারনি, সালামি বা প্রসেসড রেড মিট না কেনাই ভাল।
২) নিয়মিত এক গ্লাস দুধ খান। দুধ সহ্য না হলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন ছানা, চিজ, কাস্টার্ড, মিষ্টি দই ইত্যাদি।
৩) পিনাট বাটার হল ওয়েট গেইন করার সবচেয়ে ভাল উপাদান। পাঁউরুটি বা হাতে গড়া রুটিতে মাখিয়ে খেতে পারেন নিয়মিত। ভারতীয় কোম্পানিগুলির পিনাট বাটার সুস্বাদু হয় না। ‘ইউএস গার্ডেন পিনাট বাটার’ কিনতে পারেন স্পেনসার থেকে বা অনলাইনে।
৪) দিনে দু’তিন রকম ফল খান। কলা, আম, পাকা পেঁপে, আনারস ইত্যাদি উপকারী ফলে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে। পাশাপাশি এগুলি ওয়েট গেইন করতেও সাহায্য করে।
৫) ওজন বাড়াতে খুবই ভাল কাজ দেয় বাদাম। দু’তিন রকম বাদাম পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন রোজ। যেমন সকালে একটি বা দু’টি আমন্ড। জলখাবারের পরে কিসমিস-সহ দু’চারটি আখরোট এবং বিকেলে মুড়ি দিয়ে সাধারণ চীনাবাদাম ১০ গ্রাম থেকে ২০ গ্রাম মতো।
৬) প্রতিদিন ডিমের পোচ অথবা সেদ্ধ ডিম খেতে পারেন ব্রেকফাস্টে। দুধের মতোই ডিমও সুসম আহার এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
৭) ডিম ছাড়াও প্রতিদিন লাঞ্চে ১০০ গ্রাম ওজনের টাটকা মাছ খান। স্বাস্থ্য ভাল করতে মাছের জুড়ি নেই। নদীর মাছের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছও খাবেন।
৮) ব্রেকফাস্টে বা সন্ধের জলখাবারে মাশড পোট্যাটো বা আলুসেদ্ধ খান। রাঙালু খেলে খুবই ভাল। এছাড়া তরকারিতেও আলু খাবেন। তবে দিনে ২০০গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রামের বেশি আলু একেবারেই নয়।