বাঙালি বিয়েতে আগে মেহেন্দি পরার কথা কেউ ভাবতেই পারত না কিন্তু দশ বছরে একটু একটু করে গৃহস্থ বাঙালি পরিবারে ঢুকে পড়েছে মেহেন্দি। এর পিছনে অবশ্যই কাজ করেছে এক ধরনের বলিউড-প্রীতি। নব্বইয়ের দশক থেকে বলিউডি ছবিতে মেহেন্দির বাড়বাড়ন্ত বলা যায়। আর মিলেনিয়ামের পরে ট্যাটুর পাশাপাশি মেহেন্দিও ক্রমশ হয়ে উঠেছে একটি ফ্যাশন স্টেটমেন্ট।
আর মেহেন্দির এই আঞ্চলিকীকরণ যেমন ঘটেছে, তেমনই ঘটেছে গ্লোবালাইজেশনও। তবে বিশ্বের দরবারে মেহেন্দি ফ্যাশনকে পৌঁছে দিতে ভারত যতটা এগিয়ে, ততটাই এগিয়ে পাকিস্তান বা বাংলাদেশ কারণ ইসলামী প্রথায় বিয়েতেও মেহেন্দি বা হেনা একটি অবশ্য উপকরণ। আর ফ্যাশন যখন, তখন তো তার নিত্যনতুন ট্রেন্ড আসবেই।
ইদানীং হাত-পা বাদ দিয়ে শরীরের আর একটি অঙ্গে মেহেন্দি করা এক ধরনের ট্রেন্ড যা শুধু উপমহাদেশে নয়, ছড়িয়ে পড়েছে ইওরোপেও। পিঠখোলা পোশাকের (তা সে ডিজাইনার ব্লাউজও হতে পারে বা হল্টার টপ) সঙ্গে দিব্যি লাগছে মানানসই মেহেন্দি।
কোথাও কোথাও আবার শুধু মহিলারা নন, পুরুষেরাও করাচ্ছেন পিঠ-মেহেন্দি। নীচের এই ইনস্টাগ্রাম পোস্টটিই তার প্রমাণ।
আসলে মেহেন্দির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি ট্যাটুর মতো চিরস্থায়ী নয়। বড়জোর দু’সপ্তাহ এর আয়ু। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডিজাইন পাল্টে নতুন নতুন ফ্যাশনে নিজেকে সাজানো যেমন যায়, তেমনই ট্যাটুর মতো কষ্টও সহ্য করতে হয় না। কলকাতায় যদিও এখনও পর্যন্ত এই পিঠ-মেহেন্দি খুব একটা ছড়িয়ে পড়েনি ব্যাপক স্তরে, কিন্তু যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ট্রেন্ডের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তাতে মনে হয় ২০১৮-র শারদোৎসবে এটাই হয়ে উঠবে সবচেয়ে বড় ফ্যাশন ট্রেন্ড।