মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারিতে পড়ছে মৌনী অমাবস্যা তিথি। অমাবস্যা ও মঙ্গলবারের এই সংযোগে একটি অন্য গুরুত্ব রয়েছে।
এই দিন কয়েকটি কাজ করলে অন্য অমাবস্যার থেকে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তন্ত্রশাস্ত্রেও এই দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
অমাবস্যায় সূর্য ও চন্দ্রের মিলন হয় ও দু’টিই একটিই রাশিতে প্রবেশ করে বলে বিশ্বাস করে ভারতীয় জ্যোতিষ।
জ্যোতিষের দৃষ্টি থেকে চন্দ্রকে চিত্তের অধীশ্বর বলে ধরা হয়। অমাবস্যার রাতে চন্দ্র লুপ্ত হয়ে যায়। যেসব জাতকের নেতিবাচক চিন্তাধারা থাকে, তাদের উপর অশুভ শক্তির প্রভাব তাড়াতাড়ি পড়ে।
অমাবস্যার রাতকে ভূত-প্রেত, পিশাচাদি অতিপ্রাকৃত জীব, নিশাচর জীব-জন্তু আর দানবদের রাত বলে মানা হয়। সাধারণত এই সব শক্তি অমাবস্যার রাতে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে বলে ধারণা।
অমাবস্যার রাতে তাই সাবধানে থাকা দরকার বলে মনে করেন অনেকেই। এই দিন একটি উপায়ে আপনি নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে ধারণা।
পিতৃকুলের প্রসন্নতার জন্য গরিব ব্রাহ্মণদের ভোজন করাতে পারেন। তাঁদের কৃপায় ধনযোগও হতে পারে।
ধন লাভের জন্য লক্ষ্মীর মূর্তির সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে, পদ্মবীজের তৈরি মালা দিয়ে ‘সিদ্ধি বুদ্ধি প্রদে দেবী ভক্তি মুক্তি প্রদায়িনী/ মন্ত্রঃপুতে সদা দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে’ মন্ত্র জপ করতে পারেন।
কোনও ইচ্ছা পূরণের জন্য শিবলিঙ্গের উপরে পঞ্চামৃত ও বেলপাতা দিয়ে পুজোও করতে পারেন। রুদ্রাক্ষের মালায় ‘ওঁ নম শিবায়’ যতবার সম্ভব জপ করতে পারেন।
মাছেদের আটার গুলি খাইয়েও অনেক সমস্যা দূর করা যেতে পারে বলে বিশ্বাস।
সন্ধ্যের সময়ে ঘিয়ের প্রদীপ ঘরের ঈশান কোণে জ্বালানো যেতে পারে। সেই প্রদীপে তুলোর বদলে লাল রঙের সুতো ব্যবহার করা ও কেশর ঢালার বিধানও রয়েছে।