এবার ভারতের হজ যাত্রীর মোট সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৫ জন। না, এখানেই রেকর্ড শেষ নয়। আরও বড় রেকর্ড হল— মোট যাত্রীর ৪৭ শতাংশ মহিলা।
নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি জানিয়েছেন, এই বছরে মোট ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৬০৪টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে পুরুষ আবেদনকারী ছিলেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ২১৭ জন। আর মহিলা ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৭ জন। হজ কমিটির থেকে হজ যাত্রার অনুমোদন পেয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৫ জন। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম এত বেশি সংখ্যায় মানুষ হজ করতে যাচ্ছেন বলে দাবি নকভির।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই প্রথমবার হজ যাত্রীদের ভর্তুকি দিচ্ছে না সরকার। অন্য দিকে, সৌদি আরব নানা রকম কর চাপিয়েছে। তা সত্বেও এত বেশি তীর্থযাত্রী! একই সঙ্গে তাঁর দাবি, এই বছরে যাত্রী সংখ্যা বেশি হলেও বিমান ভাড়া বাবদ খরচ কম হচ্ছে। আগের বছরে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৫২ জনের জন্য এয়ারলাইনসকে দিতে হয়েছিল ১ হাজার ৩০ কোটি টাকা। কিন্তু এবার যাত্রী সংখ্যা বাড়লেও বিমান ভাড়া কমায় ওই খাতে খরচ হয়েছে ৯৭৩ কোটি টাকা। ৫৭ কোটি টাকা কম।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে মোদী সরকার ঘোষণা করে এত দিন চলে আসলেও হজ যাত্রীদের আর কোনও ভর্তুকি দেবে না কেন্দ্র। সেই টাকা সংখ্যালঘু উন্নয়নের অন্যান্য খাতে খরচ করা হবে। একই সঙ্গে এই প্রথমবার ভারতীয় মুসলমান নারীরা পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই হজ যাত্রায় অংশ নিতে পারছেন। সংখ্যালঘু মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই বছরে মোট ১ হাজার ৩০৮ জন মহিলা পুরুষ সঙ্গী বা ‘মেহরাম’ ছাড়াই হজ যাত্রায় সামিল হচ্ছেন।
১৪ জুলাই থেকে শুরু হবে যাত্রা।