মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগঢ়ে খারাপ ফলাফলের পরে রামমন্দির ইস্যুতে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত গেরুয়া শিবির৷ এক পক্ষের মতে উন্নয়নের পথ ছেড়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদ নিয়ে বিজেপির আস্ফালনের কারণে হাতছাড়া হয়েছে তিন রাজ্য৷ তাই ওই ইস্যুতে ধীরে চলো নীতি নেওয়াই ভাল৷
দ্বিতীয় মতটি হল, মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিলে আগামী লোকসভা ভোটে লাভবান হবে বিজেপি৷ হিন্দু ভোট গিয়ে পড়বে বিজেপির ঝুলিতে৷ ফলে দিল্লির সাউথ ব্লকে আরও একবার উড়বে গেরুয়া ঝান্ডা৷
দ্বিতীয় মতের পক্ষে রয়েছে আরএসএস সহ গোটা সঙ্ঘ পরিবার। তাদের মতে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি খারাপ ফল করলে রামমন্দির নিয়ে ফের পিছু হঠতে হবে৷ তাই ক্ষমতায় থাকতে থাকতে মন্দির নির্মাণের রাস্তা প্রশস্ত করে নেওয়া দরকার।
এই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এ নিয়ে দলের চূড়ান্ত মত জানাতে না পারলেও সকলকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার যাবতীয় জল্পনার উত্তর দিলেন অমিত শাহ।
বিজেপি সভাপতি বুঝিয়ে দিয়েছেন, রামমন্দির ইস্যু থেকে একটুও সরছে না বিজেপি। অযোধ্যায় বিতর্কিত সৌধের জায়গাতেই ভব্য মন্দির চায় তারা। আবার এখনই সরকার অর্ডিনেন্স নিয়ে আসবে এমন কথাও বলেননি অমিত। বুধবার নয়াদিল্লিতে একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘‘আমরা চাই অযোধ্যায় ভব্য মন্দির হোক রামচন্দ্রের। ঠিক সেই জায়গাতেই মন্দির হবে যেখানে ছিল।’’ আগের মতো এবারেও শাহ বলেন, এটা শুধু বিজেপির নয়, গোটা দেশের দাবি। তাঁর কথায়, ‘‘২০১৪ সালের আগে থেকে এই মামলা চলছে। কেন্দ্র এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছে দ্রুত শুনানি করার জন্য।’’
অমিত শাহর দাবি, জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ আদালত যদি শুনানি শুরু করে এবং প্রতিদিন শুনানি চলে তবে ১০ দিনের মধ্যে রায় বেরিয়ে আসবে। তিনি বলে, ‘‘এই মামলাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। সিদ্ধান্ত যাই হোক সেটা যত দ্রুত সম্ভব জানিয়ে দেওয়া উচিত। এর সঙ্গে বহু মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। কোটি কোটি মানুষ অযোধ্যায় মন্দির চান।’’