দিল্লি বিধানসভাতে আগেই হেরে গিয়েছিল বিজেপি। এবার ক্ষমতাসীন আপকে ধাক্কা দিতেও ব্যর্থ হল তারা। ২ বছর আগে ক্ষমতায় এসেছিল আম আদমি পার্টি। কিন্তু তার পর নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে অরবিন্দ কেজরিবালের আম আদমি সরকারের বিরুদ্ধে।
অরবিন্দ কেজরিবালের দলের মধ্যেও বিদ্রোহ শুরু হয়। দল ছেড়ে চলে যান নেতা-মন্ত্রীরা। এইরকমই আপের এক বিধায়ক বেদ প্রকাশ দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁকেই বাওয়ানা বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিলেন অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদীরা।
কিন্তু সেই চালেও কাজ হল না। গতবার আপের টিকিটে জিতলেও, বেদ প্রকাশ এবার গোহারা হারলেন আপের প্রার্থী রাম চন্দ্রের কাছে। রাম পেলেন ৫৯,৮৮৬ ভোট, আর বেদ প্রকাশের ঝুলিতে ৩৫,৮৩৪টি ভোট।
কংগ্রেসের অবস্থা অবশ্য আরও খারাপ। এক সময়ের শক্ত ঘাঁটি বাওয়ানাতে তাদের প্রার্থী তৃতীয় স্থানে। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩১৯১৯।
ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই আপের প্রধান ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল বাওয়ানার ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করে বলেন, ‘‘আম আদমি পার্টির স্বচ্ছ রাজনীতি ও গত আড়াই বছরের কাজের উপর সিলমোহর দেওয়ার জন্য বাওয়ানার জনতাকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।’’
দিল্লির উত্তর অংশে এই বিধানসভা অঞ্চলে বস্তি ও গ্রামীণ এলাকাই বেশি। এখানে মূলত উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চল ও বিহারের উদ্বাস্তুদের বসতি। এদের মধ্যে আপের জনপ্রিয়তা কাজে লেগেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বেদ প্রকাশকে প্রার্থী করাই ভুল হয়েছিল বলে মনে করছে বিজেপির একাংশ। কারণ বেদকে টিকিট দেওয়ায় বিজেপির পুরনো প্রার্থী গুগান সিংহ আপে গিয়ে যোগ দেন। এটাও বিজেপির হারের বড় একটি কারণ বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা।
দিল্লির এক নেতার কথায়, ‘‘আমরা ভোটের ফল বিশ্লেষণ করে দেখব। সেই মতো ভবিষ্যতের কর্মপন্থা ঠিক করব।’’