ন্যূনতম পড়াশোনা জানা নেই। এমন কী, টাকা পয়সাও গুণতে জানেন না। এ সব চেপে গিয়েই বিয়ে করতে চলে এসেছিলেন জামাই বাবাজীবন। কিন্তু মালাবদল হয়ে যাওয়ার পরেও ধরা পড়ে গেলেন মুর্খ জামাই। যার জেরে বিয়েই ভেঙে দিলেন কনে।
একটি সর্বভারতীয় হিন্দি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৩ মার্চ এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মধুবনী জেলার পন্ডোল গ্রামে। পন্ডোল ব্লকের ব্রহ্মতোড়া গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে মোমিনপুর গ্রামের এক যুবতীর বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের দিন যথাসময়ে বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে হাজির হন বর। মালাবদল এবং বিয়ের মণ্ডপে যাবতীয় রীতি পালনের পরে বরের সঙ্গে গল্পে মেতে ওঠেন কনের বান্ধবীরা। তখনই পাত্রের শিক্ষাদিক্ষা নিয়ে সন্দেহ হয় পাত্রীর বান্ধবীদের। তাঁরা বরকে একের পরে এক প্রশ্ন করতে থাকেন। তার একটিরও সঠিক জবাব দিতে পারেননি ওই পাত্র।
এর পরেই পাত্রীর বান্ধবীরা পাত্রকে একশো টাকার দশটি নোট দিয়ে গুণতে বলেন। তিন বার চেষ্টা করলেও তা সঠিকভাবে গুণতে ব্যর্থ হন ওই পাত্র। এমন কী, নিজে কোন জেলায় থাকেন, তাও বলতে পারেননি ওই পাত্র। তখনই বোঝা যায় তিনি পড়াশোনা জানেনই না। কিন্তু গোটা বিষয়টি পাত্রীপক্ষের কাছে বেমালুম চেপে গিয়েছিল বরপক্ষ। বিষয়টি জানাজানি হতেই পাত্রী বিয়ে ভেঙে দেন। কনের এই সাহসী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান গ্রামবাসীরাও। তবে গল্পে অবশ্য আরও একটি টুইস্ট বাকি ছিল।
বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক ব্যক্তি তাঁর শিক্ষিত ছেলের সঙ্গে বিয়ের জন্য কনেকে প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান পাত্রী। সবশেষে দ্বিতীয় পাত্রের সঙ্গেই বিয়ে হয় ওই যুবতীর।