মরাঠা কেশরী ছত্রপতি শিবাজী তাঁর ‘স্বরাজ্যে’ শুরু করেছিলেন গণপতি উৎসব। পরে তাকেই সার্বজনীন রূপ দান করেন লোকমান্য তিলক। এই উৎসবের পিছনে হিন্দুত্বের একটা প্রচ্ছন্ন উপস্থিতিকে দেখেছেন অনেক ইতিহাসবিদই। মরাঠা জাতীয়তাবাদের জারণে মূর্তি উপাসনার এই সংযুক্তিকে অন্য ভাবে ব্যাখ্যা করা কঠিন। কিন্তু কালে কালে গণপতি উৎসব তার মার্কামারা ‘হিন্দু’ আবরণ থেকে বেরিয়ে এসে আজ সত্যিই এক সার্বিক চেহারায় উদ্ভাসিত।
মুম্বই ফিলম ইন্ডাস্ট্রি গণপতি উৎসবকে নিজস্ব উৎসব বলেই মনে করে। দীর্ঘকাল ধরেই রুপোলি পর্দা আর তার সংলগ্ন গ্ল্যামার জগতের সঙ্গে গণপতি উৎসব একাত্ম হয়ে রয়েছে। ধর্মীয় সীমারেখাকে উহ্য রেখেই মানুষ সামিল হন বক্রতুণ্ড মহাকায়ের আরাধনায়। এ বছরেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।
ছবি— সচিন তেন্ডুলকরের ইনস্টাগ্রাম পেজ।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সলমন খানের বোন অর্পিতা খান শর্মার বাড়িকে সমারোহ সহকারেই পালিত হয় গণেশ চতুর্থী। সেখানে দেখা গিয়েছে আরবাজ খানের মতো ব্যক্তিত্বকে বান্ধবী সহযোগে। বন্ধুর বাড়ির গণপতি পূজায় উপস্থিত থেকেছেন জন আব্রাহাম। টিভি তারকা তানাজ ও বখতিয়ার ইরানি পালন করেছেন গণেশ চতুর্থী। কোরিওগ্রাফার রেমো ডি’সুজাকেও দেখা গিয়েছে রীতিমতো সক্রিয় ভাবে গণপতি বাপ্পার পূজায় অংশ নিতে।
এর পাশাপাশি, সচিন তেন্ডুলকর, অনুল কুম্বলে থেকে বিবেক ওবেরয়, তুষার কপূর— সকলেই মেতেছেন গণপতি আরাধনায়। ধর্ম, সংস্কৃতি ইত্যাদির ফারাক ঘুচিয়ে দিয়েছেন পার্বতী-তনয় সিদ্ধিদাতা।