আধার কার্ড না থাকায় গাড়ির পার্কিং লট-একটি সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের জন্ম দেন গুরুগ্রামের বাসিন্দা মুন্নি। শুক্রবার সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে গুরুগ্রামের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি হন বছর পঁচিশের ওই মহিলা। কিন্তু টেস্ট করতে যাওয়ার সময়ে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আল্ট্রাসাউন্ড টেস্ট করানোর জন্য মুন্নির আধার কার্ডের দাবি করেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তা না থাকায় প্রসূতির স্বামী বাবলু তাঁর ভোটার কার্ড জমা করাতে চান। কিন্তু ওয়ার্ডে উপস্থিত ডাক্তার তা গ্রহণ করেননি। মহিলাকেও টেস্ট না করিয়েই বের করে দেওয়া হয় এমারজেন্সি ওয়ার্ড থেকে।
সুত্রের খবর অনুযায়ী, প্রসব যন্ত্রণায় প্রায় দুই ঘণ্টা ছটফট করেছেন মুন্নি। পরে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ হাসপাতালের বাইরেই শিশুকন্যার জন্ম দেন তিনি। এই দৃশ্য দেখে সেখানে উপস্থিত জনতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের এহেন আচরণের জন্য জবাবদিহি চান। অবশেষে মা ও সদ্যোজাতকে গাইনোকোলজি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। দু’জনের অবস্থাই এখন আগের তুলনায় ভাল।
কর্তৃপক্ষের এমন অমানবিক আচরণ সত্ত্বেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি মুন্নি এবং তাঁর স্বামী বাবলু। হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রদীপ শর্মা জানিয়েছেন যে, অভিযুক্ত নার্স এবং ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।