স্বাধীনতার পরে এই নিয়ে চতুর্থবার। মধ্যরাতে বসবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ও তার পরে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এমন অধিবেশন হয়েছে। শুক্রবার রাতে আর এক ইতিহাসের সাক্ষী হবে ভারত।
৩০ জুন, শুক্রবার। শেষ হবে একটি দীর্ঘ অধ্যায়ের। ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা ছুঁলেই জন্ম নেবে এক নতুন ভারত। সেই ভারতে কোনও রাজ্য আর আলাদা বাজার হিসেবে চিহ্নিত হবে না, গোটা দেশ হয়ে উঠবে একটিই বাজার। শুধু এশিয়া মহাদেশ নয়, বিশ্ব-বাজারে অন্য পরিচয় পাবে ভারত।
নরেন্দ্র মোদী সরকার ৩০ জুন ও ১ জুলাইয়ের সন্ধিক্ষণকে এক বিশেষ মুহূর্ত হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে দেশের কাছে। জেনে নিন কেমন হবে এ দিনের অনুষ্ঠান—
১। ঠিক মাঝরাতে জিএসটি চালুর ঘোষণা হবে।
২। জিএসটি চালুর ঘোষণা করবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। থাকবেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। মধ্যরাতে বোতাম টিপে জিএসটি-র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
৩। দেশের নতুন অর্থনীতি বিষয়ে ভাষণ দেবের রাষ্ট্রপতি।
৪। জিএসটি চালু হলে কেমন হবে ভারতের রূপ, ব্যাখ্যা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
৫। সেন্ট্রাল হলের এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন দেশের দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, এইচ ডি দেবগৌড়া।
৬। হাজির থাকবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলী-সহ বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত জিএসটি কাউন্সিলের সদস্যরা।
৭। জিএসটি বিষয়ে দু’টি শর্ট ফিল্ম তৈরি করেছে কেন্দ্র। ওই অনুষ্ঠানে ছবি দু’টি দেখানো হবে।