মহাভারতের যুগে ভারতে যে ইন্টারনেট ছিল, সে বিষয়ে কোনও সংশয় নেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের। তিনি জানেন, সে আমলে ইন্টারনেটকেই বলা হত ‘সঞ্জয়’! আর তার মাধ্যমেই কুরু-পাণ্ডবের যুদ্ধের বর্ণনা জেনেছিলেন অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র।
‘এবেলা’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ সম্পর্কে বিপ্লবের মন্তব্য, ‘‘হাজার বছর আগে ওই ব্যবস্থা ছিল বলেই তো বলেছি। আজকের দিনে যেটা ইন্টারনেট, ওই সময় সেটাই সঞ্জয় নামে ছিল।’’ ভারতযুদ্ধে কীভাবে সেই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, তার ব্যাখ্যা দিয়ে ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘আজকে আপনি ভিডিও কলের মাধ্যমে বহুদূরের জিনিস দেখতে পাচ্ছেন। সেটাই তো সঞ্জয় করেছিল।’’
প্রাচীন ভারত প্রযুক্তি ব্যবহারে যে কতটা এগিয়েছিল, তার উদাহরণ ভারতের মহাকাব্য, পুরাণ তো বটেই, এমনকী উপনিষদেও রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমরা যে উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন ছিলাম, তা তো আমাদের উপনিষদ, গীতা, পুরাণ— এসব পড়লেই বোঝা যায়।’’ এই তত্ত্বের বিরোধিতা যাঁরা করেন, বিপ্লবের মতে, তাঁরাই ‘এখানে (ত্রিপুরা) ২৫ বছর রাজত্ব করার পরে চিরতরে বিদায় নিয়েছেন’।
রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার ‘ত্যাগ’ করা নিয়ে তাঁর সাড়া জাগানো মন্তব্য প্রসঙ্গে বিপ্লব বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথকে প্রত্যেকটি বাঙালি শিশু পর্যন্ত জানে, চেনে। আমার মনে হয় না, রবীন্দ্রনাথকে জানে না এমন কেউ ত্রিপুরায় আছেন। আমি এর বেশি কিছু বলব না।’’
কর্মসংস্থান বাড়াতে রাজ্যের বেকার যুবকদের পানের দোকান খোলার পরামর্শ দিয়েছেন বিপ্লব। তাঁর কথায়, ‘‘ফ্রান্স, জাপান, জার্মানির মতো বিশ্বের যে কোনও বড় দেশের কথা বলুন, যারা বড় হয়েছে, সেখানে সকলেই কোনও না কোনও কাজ করেন। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বাসা। তাতেই অপরাধ বাড়ে। আমরা বলছি, কুছ ভি কর লো...।’’