পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে শনিবারই জেলে গিয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদব। কিন্তু জেলে গিয়ে কীভাবে সময় কাটছে তাঁর?
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলে রয়েছেন লালু। ২০১৩ সালেও এই জেলেই ৭৭ দিন কাটিয়েছিলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী।
জেল সূত্র অনুযায়ী, বিরসা মুন্ডা জেলের আপার ডিভিশন সেলে রাখা হয়েছে লালুকে। সেখানে অবশ্য কার্যত বাড়ির আরামেই রয়েছেন লালু।
যে জেলে লালুকে রাখা হয়েছে, সেখানে অবশ্য একাধিক সুযোগ-সুবিধে ভোগ করতে পারবেন লালু। নিয়ম অনুযায়ী, তিনি প্রতিদিন একটি মশারি, একটি খবরের কাগজ পাবেন। লালুর জেলে টেলিভিশন সেট এবং একটি খাটও থাকছে। শুধু তাই নয়, বাড়ির তৈরির খাবারও পাবেন আরজেডি প্রধান।
২০১৪ সালে লালুর হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তার পর থেকেই তাঁর খাওয়াদাওয়ায় নানা রকম বিধিনিষেধ রয়েছে। আরজেডি নেত্রী অন্নপূর্ণা দেবী জানিয়েছেন, জেলে থাকলে সেখানকার খাবারই খান লালু। কিন্তু তাঁর শরীরের কথা ভেবেই লালুকে বাড়িতে তৈরি খাবার দেওয়া হয়।
নেতা-মন্ত্রী বা ভিআইপিরা জেলে যাওয়ার পরে সাধারণত চুপসে যান। সেখানকার জল-হাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতেই খানিক সময় নিয়ে নেন। কিন্তু জেলের সঙ্গে লালুর পরিচিতি নতুন নয়। শনিবার তাই জেলে পৌঁছেই নিজের সেলে বিশ্রাম নিতে চলে যান বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৩ সালে যখন তাঁর সাজা হয়েছিল, সেই সময়ে জেলে একাধিক নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল লালুর বিরুদ্ধে।